সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।।
গাইবান্ধায় দূবৃর্ত্তদের ছুড়িকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে রকি (২২) খুনের ঘটনায় সোমবার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ দুপুরে নিহতের বড়ভাই আতিকুর রহমান সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে পুর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে দূবৃর্ত্তদের ছুড়িকাঘাতে ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান খুন হন। এসময় তার সহপাঠি সোহেল মিয়া (৩০) ও প্লাবন (৩২) আহত হন। রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা শহরের পুর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে এই ঘটনা ঘটে। আশিকুর রহমানের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সৈদার রহমানের ছেলে।
এদিকে গতকাল রাত ১০টা থেকে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৫ ঘন্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ জড়িতদের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আশিকুর রহমান ২০১৫ সাল থেকে ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জেলা শহর থেকে ওষুধ কিনে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে তার সহপাঠি সোহেল ও প্লাবনকে নিয়ে গাইবান্ধা শহর থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা গাইবান্ধা-বালাসি সড়কের জেলা শহরের পুর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে পৌছলে দূবৃর্ত্তরা তাদের পথরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশিকুর রহমানকে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দূবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় আহত তার সহপাঠি সোহেল মিয়া (৩০) ও প্লাবন (৩২) গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, আজ মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮