
আমিরুল হক, নীলফমারী।।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মাঝিয়ালী ডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন কৃষক বেকনুর রহমান। তিনি শখের বশে দিনাজপুরের কাহারোল থেকে বিদেশী হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এক বছর বয়সী একটি এঁড়ে বাছুর ৫৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। তিনি কৃষির পাশাপাশি গরু বেচাকেনার ব্যবসা করলেও বিদেশী এঁড়ে বাছুরটি বাড়ীতে রেখে লালন পালন শুরু করেন। দেখতে সুঠাম ও বলশালী দেখায় নাম রাখেন ‘হিটলার’ ।
ব্যবসার কাজে নিজে বেশী সময় বাড়ীর বাইরে অবস্থান করায় হিটলারের দেখভালো করার দায়িত্ব পড়ে ছেলে শামীম ইসলামের উপর।
শামীর ইসলাম বলেন, বাছুরটি ক্রয়ের পর থেকে ঘাস,খড়, খৈল ও ভুষি খাওয়ানো হতো। দিন দিন বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এখন প্রত্যহ খাওয়া খরচ প্রায় চারশত টাকা লাগে। অনেক বড় হয়ে গেল হিটলার। লম্বায় ৯ফিট ও উচ্চতায় সাড়ে ৫ফিট। মিটার স্কেলে ওজন করেছি। ওজন হয়েছে সাড়ে ২৮ মণ।
বেকনুর রহমান বলেন, এবারে কোরবানী ঈদের জন্য হিটলাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চেয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে নিয়ে যেতে পারছিনা। প্রতিনিয়ত যেভাবে খরচ হচ্ছে তাতে হিটলারকে বিক্রি করা খুব জরুরী। অথচ এর দাম ১০ লাখ টাকা রাখলেও কিন্তু এপর্যন্ত কেউ ন্যায্য দাম করলো না।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোজাম্মেল হক জানান, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় ৮ হাজার ২০৫টি ও ৩হাজার ৩০৭টি ছাগল বিক্রির জন্যে খামারিদের কাছে আছে। এসব পশুদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ‘হিটলার’ সবার বড়। করোনার কারনে আর্থিক সংকটে হিটলারের এখনও বিক্রি হয়নি।