
দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
ত্রিশাল উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার গরু নিয়ে রহিম (৫৬) ও তার পুত্র শাকিল (২৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর পালিয়ে যাবার ঘটনা ঘটে গেছে।
ঘটনাটি উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের উজান মৈশাটেকী গ্রামে ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র ইউনিয়নের উজান মৈশাটেকী গ্রামের ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।
সরেজমিনে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে যাকে আমরা বিক্রমপুর হিসেবে চিনি সেই মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার নীতিরা সিংগীবাড়ী গ্রামের মৃত ছাবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে আঃ রহিম ব্যাপারী নিজের এলাকায় বহু মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে এসে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের উজান মৈশাটেকী গ্রামে জমি কিনে বসত বাড়ি করে স্ব-পরিবারে বসবাস করতে থাকেন। এভাবেই গড়ে উঠে স্থানীয়দের সাথে সুসম্পর্ক। এখানে পুনরায় শুরু করেন গরুর ব্যবসা। তিনি এখান থেকে গরু কিনে বিভিন্ন বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করতেন সব সময়। ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মাঝে মাঝে স্থানীয়দের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করতেন।কখনও অর্ধেক বাকিতে কখনও বা সম্পূর্ণ বাকিতে গরু কেনাবেচা করতেন তিনি। বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবারও কুরবানির ঈদকে পুঁজি করে গত ৫ জুলাই হতে ২০ জুলাই পর্যন্ত ধানীখোলা ইউনিয়নের ১৬ জন কৃষকের নিকট থেকে ১৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার গরু কিনেন রহিম ব্যাপারী। প্রতিশ্রুতি দেন ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় গরু বিক্রি করে কৃষকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করবেন তিনি। কিন্তু ঢাকার হাটে গরু বিক্রি হলেও কৃষকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করেই স্ব-পরিবারে উধাও হয়েছেন প্রতারক রহিম ব্যাপারী।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, রহিম নামের এক গরু ব্যাপারী বিক্রমপুর থেকে এসে এখানে জমি কিনে বসত বাড়ি করে গরুর ব্যবসা শুরু করেন। স্থানীয়দের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। মাঝে মাঝে বাকিতে গরু কেনাবেচা ও ধার নেওয়া দেওয়া করতেন।সেই সুযোগে কুরবানির ঈদকে পুঁজি করে স্থানীয় ১৬ জনের নিকট থেকে বাকিতে গরু কিনে ১৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বকেয়া রেখে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী কালীবাজাইল গ্রামের আব্দুস ছামাদ হোসেন বলেন, ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা মিটিয়ে আমার কাছ থেকে একটা গরু কিনে রহিম ব্যাপরী।পরে বৃহস্পতিবার সবটাকা পরিশোধের কথা বলে মাত্র ৪৮ হাজার টাকা দেয়। এখন শুনছি ব্যাপারী পালিয়েছে। আরেক ভুক্তভোগী এমদাদুল হক বলেন, আমার থেকেও ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা মিটিয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে পালিয়েছে রহিম। কাটাখালী গ্রামের ছাইফুল মুন্সি বলেন,আমার কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাওলাত নেয় রহিম ব্যাপারী।
এবিষয়ে এলাকাবাসীর দাবী উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ার সার্বিক সহায়তা প্রদান হলেই হয়তো অনতিবিলম্বে রহিমকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।