এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আটোরিকশা চালক সুমনের চিকিৎসার
জন্য নগদ-২০হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিলেন তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলা বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক সুমন মিয়া এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কোমড়ের হাড় ও মাংসে ইনফেকশন হয়ে যায়।এ কারণে এক মাস ধরে আর্থিক সংকটে পড়ে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় পড়ে কাতরাতে ছিলেন আহত সুমন।সড়ক দুর্ঘটনায় তার আটোরিকশাটিও দুমড়েমুচড়ে যায়।এ বিষয়ে অসুস্থ সুমনের মা আছমা বেগম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তা প্রচার করেন।অসুস্থতার কারণে সুমন হাটাচলা পর্যন্ত করতে পারছিলেননা। কিছুদিন চিকিৎসা করাতে পারলেও টাকার অভাবে তার চিকিৎসা
এক প্রকার থেমে যায়।ডাক্তার বলেছেন,তার ক্ষতস্থানে প্রচুর পুজ জমে বড় ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে,সময় মত উন্নত চিকিৎসা না করাতে পারলে সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যাবে।বর্তমানে তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন চিকিৎসাহীন অবস্থায়।তার চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়।১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ এর দৃষ্টি গোচর হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাসকে অসুস্থ সুমনের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশেনা পেয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস নগদ-২০ হাজার টাকার অনুদান নিয়ে অসহায় সুমনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সুমনের পরিবারের হাতে তা তুলে দেন। চিকিৎসার টাকা হাতে পেয়ে অসহায় সুমন আবেগাপ্লুত হয়ে তার চোখ আনন্দের অশ্রু এসে যায়।অসুস্থ ছেলের শয্যা পাশে বসা মা আছমা বেগমও অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, আপনাদের সাহায্যে আমার ছেলে সুস্থ হবে বলে আমি আশা করছি।আমি প্রাণভরে আপনাদের জন্য দোয়া করি মহান রাব্বুল আল আমিন আপনাদের সহায় হউক।এ সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস থানার চৌকশ এস আই মো.বিল্লাল হোসেন,তিতাস প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.কবির হোসেন ও বলরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.গোলাম সারওয়ার মাসুম প্রমুখ।এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, সুমন মিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ স্যার এর নজরে আসলে, পুলিশ সুপার মহোদয় আর্থিক সহায়তা নিয়ে আমাকে তার পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অসহায় সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেই এবং তার পরিবারকে আশ্বাস্ত করি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮