
মো.ইমরান হোসেন হান্নান,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম রাসেল। উল্লেখ্য রেজাউল করিম রাসেল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী ছামান উদ্দিন আহেম্মদের কনিষ্ঠ পুত্র ও চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতুর ছোট ভাই।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড তাঁকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অনুমতি দেয়। নির্বাচনের জন্য নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পেতেউপজেলা থেকে মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ছিলেন সাতজন ।মনোনয়ন পাওয়ার পর মুঠোফোনে রেজাউল করিম রাসেল বলেন, এতদিন একটি কুচক্রি মহলের কাছে পৌরসভা জিম্মি ছিল। কালিয়াকৈর পৌরসভা ও পৌরবাসীর জীবন মানের কোন উন্নয়ন হয়নি। প্রিয় পৌরবাসীর মূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর সভায় রুপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ।জানা গেছে, ২০০১ সালে উপজেলার শ্রীফলতলী, মৌচাক ও আটাবহ ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয় কালিয়াকৈর পৌরসভা। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান শরীফ কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইউ,এন,ও কে বাদ দিয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমানকে কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময় পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমার কারণে দীর্ঘদিন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিশেষে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু ফের মামলা-মোকদ্দমার কারণে দীর্ঘ ৫ বছরেও এখানে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। অবশেষে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কালিয়াকৈর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে প্রার্থী, ভোটার ও পৌরবাসিদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার আনন্দ বিরাজ করছে।