
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বীজ ধান বিক্রির ধুম পড়েছে। পছন্দের বীজ ধান কিনতে কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কৃষকরা। জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন বীজ ডিলারের দোকানে কৃষক ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। তারা তাদের পছন্দ মতো বীজ কিনতে দামদর কষাকষি করছেন। এবার সরকারি বীজ ব্রি-২৮ ও ব্রি ২৯ ধানের পাশাপাশি হীরা, হীরা-২, হীরা ১৯, হীরা ৬, ছক্কা, জনকরাজ, বৈশাখি, ঝলক, অগ্রণী ৭, যমুনা, দোয়েল, টিয়া, তেজ, শক্তি, সোনার বাংলা, আপ্তাব, নবীন, ইস্পাহানী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন কোম্পানীর বাহারি প্যাকেটের বীজ ধান বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি ১০ কেজি বস্তার বীজ বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ টাকা দরে। কোম্পানীগুলোর প্রতি কেজি বীজ ২৬০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এসব বীজের মধ্যে কম সময়ে বেশি ফলনের আশায় কৃষকরা হাইব্রিড জাতের বীজ বেশি কিনতে দেখা যায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গত বছর বোরো ফসল ভাল হওয়ায় কৃষকরা এবার জমি আবাদে আরো বেশি উৎসাহিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে হাওর থেকে পানি নামার সাথে সাথে বীজতলা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সেই সাথে চলছে বোরো জমি পরিছন্ন করার কাজ।
কয়েকজন কৃষক ক্রেতা জানান, গত বছর হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমরা এসব বীজ কিনেছি। তবে মেসার্স বাউধরণ ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক আকুল মিয়া জানান, এবার বীজ ধানে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তাই প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করতে গিয়ে আমরা অল্প লাভেই বিক্রি করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার জানান, বীজে বাজার সয়লাব হওয়ায় কৃষকরা কিছুটা হলেও কম দামে কিনতে পারছেন। আমরাও সেটা চাই। তবে কেউ উচ্চমূল্যে বীজ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার অনুমোদনহীন কোন বীজ বিক্রি করা যাবে না। কোন ধরণের অনিয়ম যাতে না হয়, এ জর্ন্য আমরা ডিলারগুলোর নিয়মিত তদারকি করছি।