
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মীরকুটিরছেঁও চৌরাস্তায় গুলিতে আব্দুর রশিদ মোল্লা (৩৩) নামের যুবক নিহতের ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর রবিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মোঃ হানিফ মোল্লা বাদি হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল সহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল ৮ নভেম্বর সোমবার মাছিমপুর এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে। মিরকুটিরছেঁও চৌরাস্তায় আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও এজাহার নামীয় আসামি মিরকুটিরছেঁও গ্রামের আইয়ুব ভুঁইয়া (৩০), সোয়াইব ভুঁইয়া (১৯), শাহীন ভুঁইয়া (৩২), অপু মিয়া (৩০) ও রহমত আলী (২৮) নামের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিবি পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাছিমপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ও নজরুল ইসলামের বাড়িতে উত্তেজিত গ্রামবাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলের সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
সভায় বক্তব্য রাখেন মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ফায়েজ মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস, আবু ভুঁইয়া, আওয়ামীলীগ নেতা বাদল মাষ্টার, ইয়াকুব মিয়া, রউফ মিয়া, আমির হোসেন প্রমুখ। এসময় এলাকাবাসী মাছিমপুর-মিরকুটিরছেঁও চৌরাস্তা এলাকায় ঝাড়ু মিছিল করে।
সভায় বক্তারা বলেন, আব্দুর রশিদ মোল্লার খুনিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। আব্দুর রশিদ মোল্লার খুনীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৩২ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।