
জুরাইস ইসলাম ।।
মেহেরপুর জেলাতে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই নয়টি ইউপি নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত দু’জন, বিদ্রোহী প্রার্থী সাত জন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান ৫ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আবুল বাশার পেয়েছেন ৪ হাজার দুই ভোট। সাহারবাটি ইউনিয়নে মশিউর রহমান (নৌকা) ৭ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জেলা ছাত্রলীগের এর সহ সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম(টুটুল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯২ ভোট। তেঁতুলবাড়িয়া বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বিশ^াস ৬ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী মোতালেব হোসেন হাজার ৪৬৮ ভোট। বামন্দী ইউপিতে ওবাইদুর রহমান (নৌকা) ৬ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আব্দুল আওয়াল পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮৩ ভোট। এবং মটমুড়া ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী মুটমুড়া ইউনিয়নের পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহম্মেদ ১৮ হাজার ৩২০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আবুল হাশেম (নৌকা) পেয়েছেন ৫হাজার ৬০২ ভোট। গাংনীর পাচঁটি ইউপিতে ১লাখ ১৮হাজার ৭২৫ জন ভোটার এবং পুরুষ ভোট ৫৮ হাজার ৮৯৫ জন, নারী ভোট ৫৯ হাজার ৮২৯ জন।
মুজিবনগর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দারিয়াপুর ইউপিতে মাহফুজুল আলম রবি ৩ হাজার ৯৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিন্দনদ্বী নৌকা ২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়েছেন। বাগোয়ান ইউপিতে আয়ুব হোসেন ১২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কুতুব উদ্দিন নৌকা ১০ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মহাজনপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী বতর্মান চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ৬ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী রেজাউর রহমান নান্নু ৬ হাজার ৪১ ভোট পেয়েছেন। মোনাখালী ইউপিতে মফিজুর রহমান ৬হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিন্দ›দ্ব রফিকুল ইসলাম নৌকা ৫ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়েছেন। মুজিবনগর উপজেলায় মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮০ হাজার ৪৫৫জন। পুরুষ ভোটার ৩৯ হাজার ৯১৩ জন ও নারী ভোটার ৪০ হাজার ৫৪২ জন।
সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। জেলাতে মোট ৮০টি কেন্দ্রের ৫৮৬ টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়। এসময় প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেন।