রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বনোত্তর সংঘর্ষে ১২ নভেম্বর শুক্রবার লিপি আক্তার (৩২) নামের এক জন বুকে গুলিবিদ্ধ সহ ৮ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ লিপি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি জোছনা আক্তারের মেয়ে। এঘটনায় গুলি বর্ষণের অভিযোগে নাছির উদ্দিন (৩২) নামের এক সন্ত্রাসীকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। নাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক আহত নূরে আলম (৩২), রাজু আহমেদ (২২), ওয়াসিম (৩৬), জয়নাল আবেদিন কে (২৮) রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি জোছনা আক্তার বলেন, ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী নৌকা প্রতীকে জয় লাভ করেন। নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের ছোট ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের আনারস প্রতীকে ৬৫৮ ভোটে পরাজয় হয়। এরপর থেকে নাওড়া এলাকার সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল ১২ নভেম্বর শুক্রবার বিজয়ী চেয়ারম্যানের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে ২/৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিষ্ফোরণ হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন, র্যাব ও বিজিবির কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠ ুতদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮