
নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের বাড়িতে গুলি,ককটেল হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ হামলায় তাঁর পরিবারের কেউ আহত হননি। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে চলমান রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কাদের মির্জার অনুসারীরা ৮-১০টি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে হামলাকারীরা জানালার কাচ ভাঙচুর করে ১৫ মিনিট ধরে বেশ কয়েকটি হাতবোমার (ককটেল) বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকতে পারলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলত।
খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে আরো বলেন, জেলা শহর মাইজদীতে শনিবার নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কাদের মির্জা যেতে পারেনি। প্রতিনিধি সভার কার্ড গুলো আমার কাছে দেয়া হয়। কাদের মির্জা ১৫-২০টি হাইস গাড়ি ভাড়া করে। কিন্তু তার কোন লোক প্রতিনিধি সভায় যেতে পারেনি। এসব ঘটনার জেরে আজকে আমার বাড়িতে আবার হামলা চালানো হয়। এর আগে গত ৮ মার্চ বসুরহাট বাজারে কাদের মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা আমার ওপর হামলা চালিয়ে ছিলেন। এছাড়াও তার অনুসারীরা আরো একবার আমার ওপর হামলা চালায় এবং দুইবার আমার বাড়িতে বোমা হামলা চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একদল দুর্বৃত্ত খিজির হায়াতের বাড়িতে এসে বোমা ফাটিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে গালমন্দ করে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।