
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক সর্বানন্দ খাজেমন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদেরের (সাময়িক বরখাস্ত) দু’টি জন্ম তারিখ ও ভূয়া সনদে বিধি বর্হিভূত ভাবে অভিজ্ঞতা দেখিয়ে চাকরি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি সদস্য এবং শিক্ষক-কর্মচারিগণ। গতকাল শনিবার মাদ্রাসার অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার সহকারি সুপার ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আকবর আলী, জোষ্ঠ সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান অভিভাবক সদস্য হোসেন আলী। অভিযোগে বলা হয়েছে, আব্দুল কাদের ১৯৮১ সালে ক্বারী শিক্ষক হিসেবে পাশ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাংগা বহুমুখি দাখিল মাদ্রাসায় যোগদান করে। একই সাথে তিনি নিয়মিত ছাত্র হিসেবে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যার রেজিষ্ট্রিশন নং-৫৩৯২, সেশন-১৯৮২-১৯৮৩, পাশের সন-১৯৮৪। ক্বারী সনদে তার জন্ম তারিখ ২০/১০/১৯৬১ ইং দাখিল সনদে তার জন্ম তারিখ ০১/০৬/১৯৭১ সাল লেখা রয়েছে। ক্বারী শিক্ষক হিসেবে তার ইনডেক্স নং-০৮৮১৩৩১ এবং এমপিওতে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ২০/১০/১৯৬১ সাল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে ক্বারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে ভূয়া প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ২৩/০৭/১৯৯৮ তারিখে খাজেমন মাদ্রাসায় তিনি সুপার হিসেবে যোগদান করে এবং ২০০১ সালে এমপিও ভূক্ত হন। বর্তমান এমপিওতে তার ইনডেক্স নং ঠিক থাকলেও জন্ম তারিখ রয়েছে ০১/০৬/১৯৭১ সাল। ক্বারী সনদের জন্ম তারিখ, চাকরির অভিজ্ঞতা এবং এমপিও মোতাবেক গত ১৯/১০/২০২১ তারিখে তার অবসর গ্রহনের কথা। কিন্তু তিনি এখনও চাকরিতে বহাল থাকার জন্য আদালতে মামলা করেছে। পিটিশন নং ৪৩/২০২১। গত ২৭/০৮/২০২০ তারিখ হতে আব্দুল কাদের সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। বর্তমানে সহকারি সুপার আকবর আলী ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং শিক্ষক-কর্মচারিগণ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। সাময়িক বরখাস্তকৃত সুপার আব্দুল কাদের জানান, তার দাখিল পাশের সনদটি বৈধ এবং ওই জন্ম তারিখটি সঠিক। ক্বারী সনদ ও চাকরির প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার ব্যাপারে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি।