বরগুনা প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মার্জিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। ২শ’ জন উপরে দগ্ধ হয়েছে এর মধ্যে আহত ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতদের শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৮টার মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ৭০ জন ভর্তি রোগীদের মধ্যে শিশু রয়েছে সাত জন। আহতদের বেশিরভাগের শরীরেরই বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। আহত পুরুষ, নারী ও শিশুদের সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।
এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল সদর আসনের এমপি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম এবং নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। বার্ন ইউনিট শীঘ্রই সচল করার আশ্বাস দিয়ে তারা বলেন, “ঢাকা থেকে বার্ন ইউনিটের একটি টিম বরিশালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটিকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন নদীতে ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় যে যেভাবে পারে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পরে এবং আগুনে পুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয় কমপক্ষে ২শ’ জন। শিশু সহ মোট মৃত্যু হয় ৪১ জনের।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮