দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
বিশ্বজুড়ে বিলুপ্তির পথে ফড়িং - গবেষণা।
নতুন এক গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে জলাভুমি দূষণের কারণে ক্রমেই কমে আসছে ফড়িংয়ের সংখ্যা।
বিশ্ব জুড়ে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে বিলুপ্তির পথে ফড়িং।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্য মতে, জলাভুমিতে জন্ম নেয়া প্রায় ৪০ হাজার প্রজাতি ঝুঁকির মুখে আছে।
বিশ্বজুড়ে জলাভূমি ভরাট করা এবং দূষণের কারণে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে ফড়িং। ইইউকেএন এর তথ্য মতে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাল-বিল,নালা, পুকুর এই ধরনের জলাভূমি গুলোতে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্বে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৪০ হাজার পোকামাকড়।
গ্লোবাল স্পিশিজ প্রোগ্রামের প্রধান ক্রেইগ হিলটন টেইলর বলেন, "আমরা আসলে জলাভুমিকে কখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখিনা। মূলক এগুলোকে বর্জ্য ফেলার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করি। বেশিরভাগ সময় এসব জলাভুমি ভরাট করে বাড়ি ঘর তুলে ফেলি। কিন্তু আসলে এসব জলাভুমি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খুব জরুরি।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাল বিল, ছোট নদীর মত জলাভুমির পরিষ্কার পানি ফড়িং ও এই প্রজাতির পোকামাকড়ের প্রজননক্ষেত্র। এছাড়াও এসব পানিতে নানা ধরনের মশার লার্ভা খেয়ে থাকে ফড়িং। তাই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানান, পরিবেশের তারতম্য রক্ষায় ফড়িং এবং এ ধরনের প্রজাতির গুরুত্ব অনেক।
ক্রেইগ হিলটন টেইলর আরো জানান, "শুধু দেখতে সুন্দর তাই নয়, বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ফড়িংয়ের গুরুত্ব অনেক। পানিতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালা জ্বরের ভাইরাস বহনকারী মশার লার্ভা খাবার হিসাবে খেয়ে থাকে ফড়িং। ফলে এসব ভাইরাস আর ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এছাড়াও ফড়িং হচ্ছে ব্যাঙ, মাছ ও পাখির খাবার তাই ফড়িংয়ের সংখ্যা কমে গেলে খাদ্যাভাবে পড়বে এসব প্রজাতি।"
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নগরায়নের প্রভাবে বাসযোগ্য পরিবেশের অভাবে দিন দিন কমে আসছে ফড়িংয়ের সংখ্যা। তারা বলছেন, এসব ছোট জলাভুমি বাতাসের কার্বন শুষে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করে তাই রেইনফরেস্টের মতো এইসব জলাশয় রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮