
মোঃ রুবেল খান, মোংলা বাগেরহাট।।
বাগেরহাটের রামপালের ডাকরা গণহত্যার ইতিহাস বিকৃত করার প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মোংলায় অপপ্রচারের প্রতিবাদে ডাকরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি দুপুরে রামপাল উপজেলার ডাকরা বধ্যভূমির সামনে সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল,ডাকরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক ও ডাকরা গণহত্যা বইয়ের লেখক বিষ্ণুপদ বাগছি,বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আলতাফ হোসেন,আব্দুল খালেক হাজী,আব্দুল হামিদ শেখ,শেখ আব্দুল হক,ডাকরা গণহত্যার প্রতক্ষদর্শী শিক্ষক শিশির কুমার বিশ্বাস,পুনেন্দ বিশ্বাস,গণহত্যায় স্বজন হারানো মুক্তা বিশ্বাস,স্বপ্না রানী বিশ্বাস,দিপক রায় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বীরমুক্তিযোদ্ধা,ডাকরা গণহত্যার প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।বক্তারা জানান,কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে ডাকরা গণহত্যার ইতিহাস বিকৃত করছেন।এর অংশ হিসেবে ডাকরা গণহত্যায় মোংলা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুস সালামের নাম জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। ১৯৭১ সালে ডাকরা গণহত্যার সঙ্গে শেখ আব্দুস সালাম জড়িত ছিলেন না।
বরং শেখ আব্দুস সালামের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কোনো একটি দুষ্টচক্র এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।এই ধরণের ঘৃন্য অপপ্রচার ও ইতিহাস বিকৃতি রোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।ডাকরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেন,অত্যাচারিত স্বজন হারা মানুষ আমরা।এই গণহত্যাকে কেন্দ্র করে কোনো অপপ্রচার ও বিকৃত ইতিহাস রচিত হলে তা আমরা মেনে নেব না।
১৯৭১ সালে ডাকরা গণহত্যার সঙ্গে শেখ আব্দুস সালামের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না,বরং শেখ আব্দুস সালামের পরিবার ওই সময় হিন্দুদের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।ডাকরা গণহত্যা বইয়ের লেখক সাবেক প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ বাগছী বলেন,ডাকরা গণহত্যাবিষয়ক বই লেখার সুবাদে এই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা,নিহতদের স্বজন ও প্রতক্ষদর্শীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।গণহত্যার সঙ্গে শেখ আব্দুস সালাম জড়িত এমন কথা কেউ বলেনি। গণহত্যার সঙ্গে শেখ আব্দুস সালামকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,সেটা ইতিহাস বিকৃতির সমান।আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল বলেন,জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছি। তারমানে এই নয় যে,নিরাপরাধ মানুষকে অপরাধী বলব।যে বা যারা ডাকরা গণহত্যার ইতিহাস বিকৃতের অপচেষ্টা করছেন আমি তাদেরকে ধিক্কার জানাই।এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
ডাকরা গণহত্যার প্রতক্ষদর্শী শিক্ষক শিশির কুমার বিশ্বাস বলেন, ১৯৭১ সালে শেখ আব্দুস সালাম ডাকরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়তেন।গণহত্যার সঙ্গে আব্দুস সালাম কোনোভাবে জড়িত ছিল না।