Dhaka , Thursday, 4 July 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশের এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন- দেলোয়ার মোমেন।। শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা কালে জনতার হাতে যুবক আটক।। রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাতের  নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার।। রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ।। তিতাসের জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষকতার দুই যুগপূর্তি।। কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার- স্বামী পলাতক।। নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম।। মায়ের সামনে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু।। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ।। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজাপুরের মশিউর রহমান তামিম।। সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ।। কুমিল্লা পিটিআই কর্তৃক সততা নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন- তানজুরুন নাহার।। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা।। সড়কতো নয় যেন ধান শুকানোর চাতাল।। তিতাসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত।। ঈদ উপলক্ষে হিলিতে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে চাল বিতারণ।।  পাবনায় হত্যায় মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।। আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সভাপতি পিয়াস সম্পাদক ইকবাল।। পাবনা জেলা স্কুল জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়।। সিলেটে বৃস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত-ফের জলাবদ্ধতার শঙ্কা।। জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে- আবুল বাশার  বাদশা।। নিখোঁজের দুদিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ মিলল ঘাটলার নিচে।। ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন।। সুন্দরগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়- পুলিশসহ আহত ১০।। নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু।। পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত আহত -৭ জন।। রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রফিক সমর্থকদের উপর হামলা।। ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের।। শিবচরে আগুনে ১৩ গরু মারা গেছে।।

বাংলা একাডেমির পুরষ্কার পাচ্ছেন গাংনীর রফিকুর রশীদ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:46:57 pm, Tuesday, 25 January 2022
  • 531 বার পড়া হয়েছে

বাংলা একাডেমির পুরষ্কার পাচ্ছেন গাংনীর রফিকুর রশীদ

 

জুরাইস ইসলাম,

মেহেরপুর প্রতিনিধি ।।

শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরষ্কার-২০২১ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন মেহেপুরের গাংনীর কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। অমর একুশে বইমেলা -২০২২ এর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী এই পুরষ্কার প্রদান করবেন।

বাংলা সাহিত্যের অনেকটা নবীন শাখা শিশু সাহিত্যে তার শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। মুক্তিযুদ্ধের কিশোরগল্প, ছেলেবেলার গল্প, ইচ্ছে পুতুল, যুদ্ধ দিনের ছড়া, ইভানের বিয়ে ইত্যাদি শিশুতোষ বই লিখে বাংলা সাহিত্যের এই অঙ্গনকে করেছেন সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে, একটি অসা¤প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক প্রজন্ম গড়তে তার এই সকল শিশুতোষ বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শতাধিক গ্রস্থ রচিত হয়েছে তার মধ্যে ৫০টি শিশুদের নিয়ে।

যতদুর জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ২৭ সেপ্টম্বর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রফিকুর রশীদ। বাবা গোলাম রসুল ও মা রওশন আরা বেগম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে গাংনী সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।

রফিকুর রশীদ বলেন, ছোটবেরা থেকেই গল্প ও উপন্যাসের উপর আমার ঝোঁক ছিলো। মা রওশন আরার বই পড়ার শখ ছিল। তার বইগুলো যোগাড় করার সময় থেকেই লেখালেখির ইচ্ছা জাগে তার। এস.এস.সি পাশ করার পর বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখতেন তিনি। আর এর উৎসাহ যোগাতেন তৎকালীন মেহেরপুর সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আনছারুল হক স্যার। সেই উৎসাহ না পেলে হয়তো আমি কখনই লেখক হতে পারতেন না বলেও জানান এই সাহিত্যিক। কলেজে যাবার পর কবিতার পাশাপাশি লিখতে থাকি গল্প ও উপন্যাস। ধীরে ধীরে লেখার জগতে জড়িয়ে পড়ি।

তিনি আরোও বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখে অনুপ্রাণিত হন মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখার। নিজ এলাকা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন। বিশেষ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাগুলো লেখার মধ্যে স্থান পায় বেশি। এছাড়ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের গঠনের ইতিহাসও ছিলো অন্যতম।

শিশু সাহিত্য পুরষ্কারের বিষয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে সবচাইতে কঠিন কাজ শিশুদের উপযোগী করে বই লেখা। কারণ শিশুরা এখন মুঠোফোন বেশি আসক্ত। সেখানে ভিডিও গেমস থেকে শুরু করে বিনোদনের সব ধরনের উপকরণ পায় শিশুরা। এখন আমাকে চেষ্টা করতে হবে তার উপযোগী করে বই লেখার। তবে অব্যহত থাকবে উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখা।

 

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।।

বাংলা একাডেমির পুরষ্কার পাচ্ছেন গাংনীর রফিকুর রশীদ

আপডেট সময় : 10:46:57 pm, Tuesday, 25 January 2022

 

জুরাইস ইসলাম,

মেহেরপুর প্রতিনিধি ।।

শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরষ্কার-২০২১ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন মেহেপুরের গাংনীর কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। অমর একুশে বইমেলা -২০২২ এর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী এই পুরষ্কার প্রদান করবেন।

বাংলা সাহিত্যের অনেকটা নবীন শাখা শিশু সাহিত্যে তার শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। মুক্তিযুদ্ধের কিশোরগল্প, ছেলেবেলার গল্প, ইচ্ছে পুতুল, যুদ্ধ দিনের ছড়া, ইভানের বিয়ে ইত্যাদি শিশুতোষ বই লিখে বাংলা সাহিত্যের এই অঙ্গনকে করেছেন সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে, একটি অসা¤প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক প্রজন্ম গড়তে তার এই সকল শিশুতোষ বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শতাধিক গ্রস্থ রচিত হয়েছে তার মধ্যে ৫০টি শিশুদের নিয়ে।

যতদুর জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ২৭ সেপ্টম্বর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রফিকুর রশীদ। বাবা গোলাম রসুল ও মা রওশন আরা বেগম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে গাংনী সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।

রফিকুর রশীদ বলেন, ছোটবেরা থেকেই গল্প ও উপন্যাসের উপর আমার ঝোঁক ছিলো। মা রওশন আরার বই পড়ার শখ ছিল। তার বইগুলো যোগাড় করার সময় থেকেই লেখালেখির ইচ্ছা জাগে তার। এস.এস.সি পাশ করার পর বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখতেন তিনি। আর এর উৎসাহ যোগাতেন তৎকালীন মেহেরপুর সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আনছারুল হক স্যার। সেই উৎসাহ না পেলে হয়তো আমি কখনই লেখক হতে পারতেন না বলেও জানান এই সাহিত্যিক। কলেজে যাবার পর কবিতার পাশাপাশি লিখতে থাকি গল্প ও উপন্যাস। ধীরে ধীরে লেখার জগতে জড়িয়ে পড়ি।

তিনি আরোও বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখে অনুপ্রাণিত হন মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখার। নিজ এলাকা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন। বিশেষ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাগুলো লেখার মধ্যে স্থান পায় বেশি। এছাড়ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের গঠনের ইতিহাসও ছিলো অন্যতম।

শিশু সাহিত্য পুরষ্কারের বিষয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে সবচাইতে কঠিন কাজ শিশুদের উপযোগী করে বই লেখা। কারণ শিশুরা এখন মুঠোফোন বেশি আসক্ত। সেখানে ভিডিও গেমস থেকে শুরু করে বিনোদনের সব ধরনের উপকরণ পায় শিশুরা। এখন আমাকে চেষ্টা করতে হবে তার উপযোগী করে বই লেখার। তবে অব্যহত থাকবে উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখা।