আরিফুল ইসলাম জয়,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
দ্বিতীয় দফায় টানা চারদিন শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। কখনো মাঝারি, কখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার ওপর দিয়ে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর বলছে, এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন বিরাজ করবে।
এদিকে শীতের তীব্রতার ফলে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে ভুগছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ জানান, চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ থাকলেও দিনে রোদের কারণে কৃষিতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে বোরো ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আলুও তোলার পর্যায়ে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনালের হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, প্রচণ্ড শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এর মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরও কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকবে।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীতকে মোকাবেলা করার জন্য ইতোমধ্যে ৭০ হাজার পিস কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ হাজার সোয়েটার পাওয়া গেছে, তাও বিতরণ করা হয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮