এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এসময় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ডাবুরভাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানের পাশে।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেছেন।স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক দুই সপ্তাহ আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রফিক ও জসিমের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে,ঐ সময় রফিক মিয়া (৬৫) ও জসিম মিয়া, স্ত্রী নারগিস (৫৭) আহত হয়।ওই ঘটনার জের ধরেই গতকাল আবারও রফিকের ভাই আব্দুস ছালামকে,প্রতিপক্ষের জসিম ও তার ছেলে জব্বার,রাজিবসহ কয়েকজন মিলে মারধর করেছে।আব্দুস ছালাম মিয়ার ভাতিজা পারভেজ ইসলাম বলেন, আজ বিকেল আমার জেটা বারকাউনিয়া বাজার থেকে আসার পথে গ্রামের কবরস্থানের সামেন এসে পৌঁছলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা জসিম ও তার ছেলে জব্বার, রাজিবসহ আরও কয়েকজন মিলে জেঠাকে মারধর করে এবং জেঠার সাথে থাকা এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে জব্বার।কয়েকদিন আগেও জসিম,জব্বারসহ ৭/৮জন আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাবা রফিক মিয়াকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলছে।আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।এবিষয়ে জানতে জসিম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।তবে জসিম মিয়ার মেয়ে রোকসানা আক্তার বলেন, আজকে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি,তর্কাতর্কি হয়েছে। তিনি আরও জানান,কিছুদিন পারভেজ গং আমার মাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে ৭টি সেলাই দিয়েছে,এখনও আমার মা অসুস্থ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশিকুর রহমান বলেন,
আব্দুস ছালাম নামের মারামারির একজন রোগী আসছে,আমরা তাকে ভর্তি দিয়েছি।জগতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন , এই দু'পক্ষ আগেও মারামারি করেছে, আমি বিচার করে দেবো বলেছিলাম,কিন্তু জসিম মিয়া না আসায় বিচার করতে পারি নাই।এখন আবারও রফিক মিয়ার বড় ভাইকে মারধর করেছে জসিম ও তার ছেলেরা।তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, দু'পক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন।আগেও একবার উভয়ে মারামারি করেছে।তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮