আমিরুল হক, নীলফামারী ।।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের সহকারি স্টেশন মাস্টারের সাথে নির্মাণ শ্রমিকদের হাতাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক সরদার মো: মতি ও স্টেশনমাস্টার ময়নুল ইসলাম মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন । বৃহস্পতিবার ( ২৪ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেন চলাচল ও নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মোখছেদুল মোমিনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার কাজ চলছে। এ দিন স্টেশনমাস্টারের রুমের সামনের অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়।
কাঁচা অবস্থায় ঢালাইয়ের ওপর দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে দুইজন যাত্রী মাস্টারের রুমে যান। ঢালাইকাজ নস্ট হয়ে যাওয়ায় তার রুমে যাত্রীদের যেতে নিষেধ করতে বলেন শ্রমিক সরদার মো:মতি। এর উত্তরে স্টেশন মাস্টার শ্রমিক সরদার মতিকে ঢালাই এলাকা ঘিরে দিতে বলেন। কেননা যাত্রীরা আসবেই। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক সরদার মতি স্টেশনমাস্টারকে রুমের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে সিটকিনি লাগিয়ে দেন। এতে স্টেশনমাস্টার ময়নুল ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিক সরদার মতির ওপর চড়াও হন। এ সময় অন্য শ্রমিকরাও এগিয়ে আসলে শ্রমিকদের সাথে তাঁর হাতাহাতি শুরু হয়। যাত্রী ও রেলওয়ের অন্যান্য শ্রমিকরা উভয়পক্ষকে ছাড়িয়ে নেন।
এ ঘটনায় ঢাকা থেকে আসা আন্ত:নগর নীলসাগর এক্সপ্রেস চলাচল ও সংস্কারকাজ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। পরে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার এসএম শওকত আলীসহ রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা। উপজেলা চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে স্টেশন মাস্টার এসএম শওকত আলী জানান, এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তবে এভাবে স্টেসনমাস্টারের রুম বন্ধ করা ঠিক হয়নি নির্মাণ শ্রমিদের।
সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, উভয়পক্ষের ভুল বুঝাবুঝিতে এ ঘটনা ঘটেছে। বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮