
আমিরুল হক, নীলফামারী ।।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমি অধিগ্রহণের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই শুরু হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনের কাজ। এতে করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। বন্ধ করে দিয়েছে প্রকল্পের কাজ। বুধবার (৩০ মার্চ) উপজেলার বাগডোকরা মৌজার ধলাগাছ মতির মোড় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থরা এ বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, দেশের উত্তর জনপদে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গ্যাস ভিত্তক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যওে ১০০০ পিএসআইজি এর ৩০ ইঞ্চি ব্যাস পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। ওই কাজের মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৩শ’ ৭৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। জিটিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকল্প এলাকার জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেয়। রুট ম্যাপ ও জরিপ কাজ শেষ করে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনা প্রাদূর্ভাব ও অন্যান্য কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর স¤প্রতি আবারও শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। মাঠে লাগানো বোরো ধানক্ষেত নষ্ট করে বসানো হয় পাইপ লাইন। ক্ষমিগ্রস্থ কৃষকরা বাঁধা দিলে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্রæত ক্ষতিপূরণের মৌখিক আশ্বাস দেন। কিন্তু ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কৃষকরা জমির মূল্য নির্ধারণের নোটিশ (৮ ধারা) না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। ফলে উল্লেখিত দিনে বাগডোকরা মৌজার কৃষকরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় তারা ৮ ধারা নোটিশ প্রদানের অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে।
ওই এলাকার কৃষক ইউসুফ আলী, আজাদুল ইসলাম, ওমেদুল ইসলাম বাবলু, আমজাদ হোসেন, আব্দুল খালেক, জামাল হোসেন জাদু, মোঃ দবির উদ্দিন, আসলাম উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, মজিদুল ইসলামসহ অনেকে অধিগ্রহণ ও দখলকৃত জমিতে সকল কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেন জেলা প্রশাসক বরাবর।
তারা বলেন, আর কয়েক দিন গেলে আমরা বোরো ধান পেতাম। আমরা সেই ফসলি জমি নষ্ট করে গ্যাস লাইনের জন্য দখল ছেড়ে দিলাম। কিন্তু এখনো আমরা ৮ ধারা নোটিশ পেলাম না। ৮ ধারা নোটিশ না পেলে আমরা কিভাবে বুঝবো আমাদের জমির মূল্য কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৮ ধারা নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেবেন না বলে ওই এলাকার কৃষকরা জানান।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।