
আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা ।।
আমাকে বলা হয় আমি খালাসী থেকে চেয়ারম্যান। অথচ আমি কোন দিন খালাসি পদে চাকরী করিনি। মিথ্যা ভুল দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে প্রায় সময় আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। আমি একজন ক্ষুদ্র চাকরীজীবি হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শে একজন কর্মী হিসেবে চাকরীর মায়া ত্যাগ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আন্দোলন-সংগ্রামে আমার সর্বস্ব ভূমিকা রয়েছে। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলি। অথচ একটি চক্র আমার জনপ্রিয়তা দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে আমাকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। জেলার কোন সাংবাদিক নয় অন্য জেলার সাংবাদিককে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে দুয়েকটি সংবাদ মাধ্যম বরাবরই আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ কথাগুলো বলেন নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, স¤প্রতি সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনাকাঙ্খিতভাবে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। সবজি মার্কেট করছে পৌর কর্তৃপক্ষ অথচ আমাকে রেলওয়ের ভূমিদস্যু বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
তিনি আরও বলেন, আমার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের নামে শহীদ জহুরুল হক সড়কস্থ ৩৬০ বর্গফুট, গেটবাজার শপিং সেন্টারে ১২০৮ বর্গফুট, শেরেবাংলা সড়কে ১৮০ বর্গফুট ও কয়া বাঁশবাড়িতে আমার মায়ের নামে দশমিক ৭৯ শতক রেলওয়ের জমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরাদ্দ নিয়ে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। এর বাইরে আমার দখলে রেলওয়ের এক ইঞ্চি জমিও নেই। অথচ আমাকে বারবার ভূমিদস্যু বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
মোখছদুল মোমিন জানান, ২০০৪ সালে সৈয়দপুর পৌর পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সাংসদ প্রয়াত আমজাদ হোসেনের চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রয়াত আখতার হোসেন বাদলের জয় সুনিশ্চিত করি। এর জেরে ২০০৫ সালে আমাকে হত্যার উদ্দশ্যে ভারতের বৈদ্যনাথপুর থেকে পেশাদার খুনিকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। এরপরও আমি দলের কোনো কর্মসূচী থেকে পেছপা হইনি।
এক সংবাদকর্মীর প্রশ্নের জবাবে মোখছেদুল মোমিন বলেন, ধারাবাহিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় ক্ষোভ ও কষ্টে এক সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে পা দিয়ে মুখ ফসকে লাথি মারার কথা বলে ফেলেছি। এ জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আজমল হোসেন সরকার, পৌর প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেন, বাঙ্গালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ডা: শাহাজাদা সরকার, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জোবাইদুর রহমান শাহীন, পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম রয়েল, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মোমিন সররকার, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল হাফিজ হাপ্পু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, পৌর ছাত্র লীগের সম্পাদক সিফাত সরকারসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।