বরিশাল ব্যুরো্।।

গৌরনদী উজেলার সরিকল ইউনিয়নের বাসিন্দা মো : নুরুল করিম। একুশ বছর আগে ২০০২ সালে পার্শ্ববর্ত্তি উপজেলা বাবুগঞ্জের ঠাকুর মল্লিক গ্রামের কন্যা ইশরাত জাহান শোভাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্বামী স্ত্রীর সংসারে রয়েছে একটি মাত্র কন্যা সন্তান। সবেমাত্র এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে সে। তবে স্ত্রী-কন্যার ভবিষ্যৎ সুখের চিন্তা করে বিয়ের ৫ বছর পর স্ত্রী কন্যাকে রেখে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন সুদুর ইতালীতে। প্রতি বছর কিংবা দু-এক বছর পরপরই স্ত্রী-কন্যাকে দেখতে দেশে আসতেন তিনি। দু-এক মাস থেকে আবার চলে যেতেন প্রবাস জীবনে। মহামারী করোনার কারনে গত ৪ বছর দেশে আসতে পারেন নি। তবে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে এক সাথে ইতালী থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। এ কারনে স্ত্রী কন্যার ইতালী যাওয়ার ভিশা রেডি করে ৪ বছর পর দেশে ফিরে আসেন নুরুল করীম। কিš‘ টানা ৪ বছর স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরকীয়রা প্রেমে জড়িয়ে অর্থ সম্পদ সব কিছু নিয়ে কেটে পরেন স্ত্রী। আর স্ত্রীর এমন অপকর্মে প্রাগল প্রায় প্রবাসী স্বামী। প্রবাসী মো : নুরুল করিম জানান, প্রায় একুশ বছর আছে তিনি ইশরাত জাহান শোভাকে বিয়ে করে সুখের সংসার করছিলেন। তাদের সংসারে ১৮ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও কন্যার ভরন পোষনসহ তাদের যাবতীয় খরচ বহন করতেন। কখনো তাদের অভাব বোধ করতে দেননি। গত ১৫ বছর ধরে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজা টাকা পঠিয়েছেন শুধু মাত্র ভরন পোষনের জন্য। কিš‘ তিনি কখনো বুঝতেই পারেন নি তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেছেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ইতালী প্রবাস জীবনে অনেক কষ্ঠ করে রোজগার করে স্ত্রীকে টাকা পাঠিয়েছেন। কিš‘ সব কিছু নিজের নামে করে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, কখনো তিনি বুঝতে পারেননি তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আশক্ত। তবে গত ১০ জুলাই দেশে ফিরে তিনি স্ত্রীর মধ্যে কিছুটা অস্বাভাবিক আচড়ন অনুভব করেন। প্রবাসী নুরুল করীম বলেন, দেশে আসার পর তার স্ত্রী পাগলের মতো আচড়ন শুরু করেন। এমনকি তাকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন স্ত্রী ইশরাত জাহান শোভা। তালাক না দিলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিবে কিংবা ঘরে আগুন ধরিয়ে দিবে এমন হুুমকি ধামকি দেয়। তাকে জ্বীনে ধরেছে বলে জানান শশুর বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে পারিবারিক সমঝোতা বৈঠকে বশে স্ত্রী শোভাকে সুস্থ্য করার জন্য তালাকের কাগজে সই দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শশুর বাড়ির লোকজন। তবে শোভা সুস্থ্য হলেই তারা আবার এক সাথে সংসার করবে বলে সিন্ধান্ত হয় ওই পারিবারিক বৈঠকে। পারিবারিক সিন্ধান্তের পরে তালাকের পর মাস স্বামীর সংসারে থাকার শর্তে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বামী নুরুল করীমের কাছ থেকে তালাক পেপোরে সই নেন শোভা। কিন্তু‘ স্বামীর কাছ থেকে তালাক পেপারে সই নেওয়ার পরপরই তিনি পুরো সুস্থ্য হয়ে যান স্ত্রী শোভা। স্ত্রীর এমন নাটকীয়তা দেখে হতবাগ হন প্রবাসী স্বামী নুরুল করীম। শুধু তাই নয়, তালাক পেপারে সই নেওয়ার ৭ দিনের মাথায় পরকীয়া প্রেমিক রাজশাহীর পুটিয়া উপজেলার বাসিন্দা প্যারাগন ফিড কোম্পানীতে কর্মরত মো : জাকারিয়ার হাত ধরে পালিয়ে যান শোভা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে যা কিছু উপার্জন করেছে তার সব কিছুই স্ত্রীর নামে জমা করায় সহায় সম্বল হাড়িয়ে পাগল প্রায় নুরুল করীম। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, স্ত্রী ও কন্যাকে ইতালী নিয়ে যাবো এ জন্য ইতালী থেকে দু জনের নামে ভিশা নিয়ে এসেছি। কিš‘ দেশে এসে সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। স্ত্রীকে সুস্থ্য করার কথা বলে আমাকে ইমোশনাল ব্লাক মেইল করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিক মো : জাকারিয়াকে তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করার পর তিনি ফোন রিসিভ করলেও কোন কথা বলেন নি। ফলে তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।