
নুরনবী ইসলাম মানিক,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকালে উপজেলা স্মৃতি অম্লান চত্বরে
ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং ডিমলা উপজেলা বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক লোকজন ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে উপজেলা বিজয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য ফেরদৌস পারভেজ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম সরকার আকস্মিক ভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্ছিত করে। তিনি উপজেলার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, বারবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরকম একজন সম্মানী মানুষকে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম বলেন, আমি জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, ২৭ বছর বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আওয়ামীলীগ মনোনীত ২বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও প্রোগ্রামে আসা উপজেলা সর্বস্তরের লোকজন ও প্রশাসনের সামনেই আমাকে রাজাকার বলে গালিগালাজ করে এবং গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। আমি প্রশাসনের নিকট দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাছি।
মানববন্ধন শেষে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামছুল হক’এর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।