রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী বজলু মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ১'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাব জানান, বজলুর রহমান রূপগঞ্জের চনপাড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক মামলাসহ ১২ টি মামলা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে র্যাব চনপাড়া বস্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে । আসামিদের নিয়ে আসার সময় বজলু মেম্বারের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে মাইকিং করে। এ সময় বস্তিতে থাকা লোকজন জড়ো করে র্যাবের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গুলি ছুড়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই হামলার ঘটনায় র্যাব-১-এর নায়েক সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমানসহ ৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। র্যাবের করা সে মামলায় বজলু জামিনে আছে।
জানাযায়, রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী ঘেঁষে গড়ে ওঠা পুনর্বাসন কেন্দ্রটি বর্তমানে চনপাড়া বস্তি নামে পরিচিত। এখানে প্রায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। বসবাসরত প্রায় সবাই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।এসব অপরাধ ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতা হলেন সন্ত্রাসী বজলু। তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার। এছাড়া রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও রাসেল নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় হওয়ায় তিনি আইনের তোয়াক্কা না করে চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভাড়াটিয়া খুনিদের চনপাড়া আশ্রয় দেয়। এসব সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজ করে বজলু। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে রূপগঞ্জের কেউ মুখ খোলে না।
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট মেধাবী ছাত্র ফারদিনের মরাদেহ উদ্ধারের পর ফের আলোচনায় আসে বজলু।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮