
মেহেরপুর প্রতিনিধি । ।
মেহেরপুর গাংনী শহরে একটি ককটেল বিষ্ফোরণ এবং অবিষ্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে তাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে সাইদুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় ও পুলিশ, গাংনী উত্তরপাড়ায় অবস্থিত সরকারি পরিত্যক্ত একটি মাছের হ্যাচারির পাশে বিষ্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় একটি ব্যাগ থেকে ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। ককটেল বিষ্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থলে বিষ্ফোরণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তরপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান শিপুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
সাবেক ছাত্রনেতা সাহিদুজ্জামান শিপু বিএনপির দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতে গাংনী শহরে একটি মিছিল বের করে। বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলটি পৌঁছুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করলে তাদের লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেল দুটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়। হামলাকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি। বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল, শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, বিএনপি নেতা এডাম ও জামাল বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকজন তাদের ধাওয়া করে। তারা পালিয়ে যায়। অথচ উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে বিষ্ফোরণের স্থান পরিদর্শন করেছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি টিম।
অন্যদিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাইদুল ইসলামকে আটক করেন।
এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অবিষ্ফোরিত তিনটি বোমা প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ককটেল রাখা ও বিষ্ফোরণের সাথে কারা জড়িত তা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে সাইদুল ইসলাম নামের একজনকে আটকের তথ্যও নিশ্চিত করেন তিনি।