রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ১জন নিহত হয়েছেন। নিহতর নাম মোঃ মকবুল হোসেন ।
তবে তিনি বিএনপির কর্মী, নাকি পথচারী তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে চায় না বিএনপি।
বিএনপি'র নেতাকর্মীরা তাদের সমাবেশ সফল করতে ৭ ডিসেম্বর থেকে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। নয়াপল্টনে বিএনপি'র সমাবেশ করার অনুমতি না থাকায় পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে বিএনপি'র নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডায় ঘটনায় এক পর্যায় সংঘর্ষের রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঐ ব্যাক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তার নাম মকবুল হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত অবস্থায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এদের মধ্যে ২১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রবিন খান,আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো.খোকন,মনির হোসেন,মো.রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), ইয়াসির আরাফাত(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জসীমউদ্দীন হল),সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল),জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়),শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. হানিফ, হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানা যুবদল), আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, নয়াপল্টন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮