Dhaka , Tuesday, 1 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশের এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন- দেলোয়ার মোমেন।। শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা কালে জনতার হাতে যুবক আটক।। রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাতের  নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার।। রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ।। তিতাসের জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষকতার দুই যুগপূর্তি।। কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার- স্বামী পলাতক।। নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম।। মায়ের সামনে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু।। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ।। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজাপুরের মশিউর রহমান তামিম।। সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ।। কুমিল্লা পিটিআই কর্তৃক সততা নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন- তানজুরুন নাহার।। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা।। সড়কতো নয় যেন ধান শুকানোর চাতাল।। তিতাসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত।। ঈদ উপলক্ষে হিলিতে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে চাল বিতারণ।।  পাবনায় হত্যায় মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।। আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সভাপতি পিয়াস সম্পাদক ইকবাল।। পাবনা জেলা স্কুল জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়।। সিলেটে বৃস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত-ফের জলাবদ্ধতার শঙ্কা।। জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে- আবুল বাশার  বাদশা।। নিখোঁজের দুদিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ মিলল ঘাটলার নিচে।। ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন।। সুন্দরগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়- পুলিশসহ আহত ১০।। নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু।। পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত আহত -৭ জন।। রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রফিক সমর্থকদের উপর হামলা।। ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের।। শিবচরে আগুনে ১৩ গরু মারা গেছে।।

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:26:33 pm, Thursday, 15 December 2022
  • 67 বার পড়া হয়েছে

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।

 

 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকা মূল্যমানের ঔষধ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে, তাদের প্রতিবেদনে ঔষধ চুরির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যেই একটি মহল চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ঔষধ,সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি,গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪৩ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ি ওই চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল সরবরাহ করে যথারীতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এরমাঝে আমেনা ট্রেডার্স ও এ,এ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ৫২ হাজার পাঁচ ৮৪ পিস ঔষধ হাসপাতালের স্টোর থেকে গায়েব হয়ে যায়। যায় বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সম্প্রতি হাসপাতালের স্টোর স্থানান্তরিত হলে, সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনের দৃষ্টিতে ঔষুধ চুরির ঘটনাটি প্রথমে ধরা পরে। এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা জানান,ঘটনাটি জানার পরপরই তিনি ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্ত কমিটি প্রধান ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে তদন্ত করতে গিয়ে, ঔষুধের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উল্লেখিত ঔষুধ সরবরাহের পর স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেন আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের কোথাও ওই ঔষুধ সরবরাহ করেননি। যার ফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীরা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে উঠে আসে ঔষুধ চুরির ঘটনার নানা অসঙ্গতির চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা মালামাল বুঝে নিবেন হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। পরবর্তীতে আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের চাহিদা মোতাবেক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে ঔষুধ সরবরাহ করবেন স্টোর কিপার। কিন্তু এখানে সে নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটেছে । এ বিষয়ে স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো মালামাল দেয়নি। তবে দুএক সপ্তাহের মধ্যে তারা ঔষধ সরবরাহ করবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আবিদ হাসানের দাবী, তারা মালামাল সরবরাহ করা পর স্টোর কিপার মো: শাহাদৎ হোসেন একটি ঔষুধ প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করে দেন। যা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবার পরই, তার বিল প্রদান করেন।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় মাঝে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ বুঝে পাওয়ার পর সার্ভে কমিটি রিপোর্ট দিবেন। সে আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল দিবেন। কিন্তু এখানে সে নিয়ম মানা হয়নি। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনে বলেন, স্টোর কিপারের ঔষুধপ্রাপ্তির স্বীকারপত্র পাওয়ার পরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়া বিল কেনো দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের ব্যস্ততায় সরল বিশ্বাসে আমি বিল দিয়েছি। তদন্ত কমিটি স্টোর কিপার কে একমাসের সময় দিয়েছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।
এ দিকে ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মো: মিজানুর রহমান ও সিস্টার ইনচার্জ মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা এ অর্থ বছরে কোনো প্রকার মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ বুঝে পাননি। যারফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের তারা এ গ্রুপের কোনো ঔষধ সরবরাহ করতে পারেননি।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্রের থেকে জানা যায়, ঔষধ চুরির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয় রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একাধিক সুবিধাবাদী গ্রুপ ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মাত্র মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ নয়, নিবির তদন্ত হলে ঔষধসহ অন্যান্য মালামালের অসঙ্গতিও ধরা পরবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: রামপদ রায় বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বেশি আমি মন্তব্য করতে পারবো না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।।

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

আপডেট সময় : 11:26:33 pm, Thursday, 15 December 2022

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।

 

 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকা মূল্যমানের ঔষধ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে, তাদের প্রতিবেদনে ঔষধ চুরির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যেই একটি মহল চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ঔষধ,সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি,গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪৩ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ি ওই চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল সরবরাহ করে যথারীতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এরমাঝে আমেনা ট্রেডার্স ও এ,এ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ৫২ হাজার পাঁচ ৮৪ পিস ঔষধ হাসপাতালের স্টোর থেকে গায়েব হয়ে যায়। যায় বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সম্প্রতি হাসপাতালের স্টোর স্থানান্তরিত হলে, সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনের দৃষ্টিতে ঔষুধ চুরির ঘটনাটি প্রথমে ধরা পরে। এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা জানান,ঘটনাটি জানার পরপরই তিনি ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্ত কমিটি প্রধান ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে তদন্ত করতে গিয়ে, ঔষুধের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উল্লেখিত ঔষুধ সরবরাহের পর স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেন আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের কোথাও ওই ঔষুধ সরবরাহ করেননি। যার ফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীরা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে উঠে আসে ঔষুধ চুরির ঘটনার নানা অসঙ্গতির চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা মালামাল বুঝে নিবেন হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। পরবর্তীতে আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের চাহিদা মোতাবেক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে ঔষুধ সরবরাহ করবেন স্টোর কিপার। কিন্তু এখানে সে নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটেছে । এ বিষয়ে স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো মালামাল দেয়নি। তবে দুএক সপ্তাহের মধ্যে তারা ঔষধ সরবরাহ করবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আবিদ হাসানের দাবী, তারা মালামাল সরবরাহ করা পর স্টোর কিপার মো: শাহাদৎ হোসেন একটি ঔষুধ প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করে দেন। যা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবার পরই, তার বিল প্রদান করেন।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় মাঝে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ বুঝে পাওয়ার পর সার্ভে কমিটি রিপোর্ট দিবেন। সে আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল দিবেন। কিন্তু এখানে সে নিয়ম মানা হয়নি। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনে বলেন, স্টোর কিপারের ঔষুধপ্রাপ্তির স্বীকারপত্র পাওয়ার পরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়া বিল কেনো দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের ব্যস্ততায় সরল বিশ্বাসে আমি বিল দিয়েছি। তদন্ত কমিটি স্টোর কিপার কে একমাসের সময় দিয়েছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।
এ দিকে ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মো: মিজানুর রহমান ও সিস্টার ইনচার্জ মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা এ অর্থ বছরে কোনো প্রকার মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ বুঝে পাননি। যারফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের তারা এ গ্রুপের কোনো ঔষধ সরবরাহ করতে পারেননি।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্রের থেকে জানা যায়, ঔষধ চুরির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয় রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একাধিক সুবিধাবাদী গ্রুপ ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মাত্র মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ নয়, নিবির তদন্ত হলে ঔষধসহ অন্যান্য মালামালের অসঙ্গতিও ধরা পরবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: রামপদ রায় বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বেশি আমি মন্তব্য করতে পারবো না।