
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা ভারতের সীমান্ত ঘেষা কৃষি নির্ভরশীল নদী মাতৃক এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা কয়েকটি নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। এই নদী গুলি হলো মহারশি , সমেশ্বরী , কালঘুশা, অঞ্জনা, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই নদী সহ কয়েকটি ঝুড়া প্রবাহমান। প্রবাহিত নদী গুলি বর্ষা মৌসুমে বর্ষনের পানি ও বন্যার ঢলের পানি প্রবাহের ধারন ক্ষমতা না থাকায় নদীর উভয় পাড় ভেঙ্গে বহু কৃষকের আবাদী কৃষি জমিতে বালু পরে অনাবাদি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য গত বর্ষা মৌসুমে উল্লেখিত নদী গুলির পাড় ভেঙ্গে বহু কৃষি জমি অনাবাদি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে উক্ত নদী গুলির যে সমস্ত পাড় ভেঙ্গেছে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ নদীর পাড় গুলো পূনঃ মেরামত করা হয়নি। এমনিতেই বিগত সময়ে বন্যায় কৃষি জমিতে বালু পরে বহু জমি চাষাবাদের অনুপযোগি হয়ে আছে। এতে বহু দরিদ্র প্রান্তিক চাষিরা তাদের ফসলি জমিতে বালি পরার কারনে ব্যপক ক্ষতির মূখে পড়েছে। এক দিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অপর দিকে জমি গুলো থেকে কৃষি ফসল উৎপাদন না হওয়ায় দেশের উৎপাদন খাতে ব্যপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অনেক কৃষকের পক্ষেই এই জমি গুলি থেকে বন্যার ঢলে আসা বালু অপসারণ করার সক্ষমত না থাকায় কৃষকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। যে সমস্ত জমি গুলিতে বালু পরে চাষের অনুপযোগি হয়েছে সেই জমি গুলোতে গত আমন মৌসুম চাষ করতে পারেনি এবং চলতি বোর মৌসুমেও চাষ করতে পারবেনা। এতে অনেক কৃষক বিপর্যয়ের মূখে পড়েছে। বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীর ভাঙ্গা বাধ গুলি পূনঃ মেরামত না করা হলে আগামি বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানিতে বালি পরে আরো বহু জমি আবাদের অনুপযোগি হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে অসংখ্য কৃষি পরিবার এবং ব্যাহত হবে উৎপাদন। অত্র উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। উক্ত উপজেলার কৃষকের উৎপাদিত ধান, পাট, গম, সরিষা, ভুট্টা সহ নানা জাতের সবজী উৎপাদন করে অত্র এলাকার কৃষকেরা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরীন চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে এই এলাকার কৃষকেরা। তাই এই এলাকার কৃষকের উৎপাদিত ফসল সুরক্ষায় নদী গুলির পূনঃ খনন, পূনঃ মেরামত বেড়িবাঁধ সহ নদী শাসনের জরুরি প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করে।