মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিলুপ্ত প্রজাতি প্রাণি ১টি মেছো বাঘ উদ্ধার করেছে স্থানীয় বনবিভাগ ও থানা পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বন্দভাটপাড়া গ্রাম থেকে ওই মেছো বাঘটিকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, রোববার সকাল ৮টার দিকে বন্দভাটপাড়া গ্রামে বাবু’র বাড়ীর একটি কাঠাল গাছে মেছো বাঘটিকে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় পুলিশ ও বনবিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও বনবিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় মেছো বাঘটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে থানা কর্তৃপক্ষ উক্ত মেছো বাঘটিকে রাংটিয়া রেঞ্জের পক্ষে গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের নিকট পাহাড়ে ছেড়ে দেয়ার জন্য হস্তান্তর করেন। এসময় মেছো বাঘটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে। প্রায়ই এই ধরনের বিভিন্ন জাতের পশু লোকালয়ে চলে আসে এবং অনেক বন্য প্রানি লোকালয়ে আসার কারনে অনেকের হাতে মারাও পরে। এতে দিন দিন বন্য প্রানি প্রাণ হানির কারনে হ্রাস পাচ্ছে। উল্লেখ্য শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে ছিল ঐতিহ্যবাহী নৈশ্বগিক দৃর্ষের প্রকৃতিক সুন্দর্যের গহিন অরণ্যর লিলাভূমি গারো পাহাড়। এই পাহাড়ে ছিল নানা প্রজাতির পশু পাখির অভয় আশ্রম। উক্ত পাহাড়টি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে এখন আর এই পাহাড়ে বসবাস করার মতো অবস্থান নেই বিভিন্ন প্রকার পশুপাখি। এক সময় এই গারো পাহাড়ে থাকতো বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, নেকড়ে, চিতা, বানর, হনুমান, হাতি সহ আরো নানা প্রজাতির পশু পাখি ছিল। উক্ত পাহাড়টি গহিন অরন্য থেকে আজ বিরান ভূমিতে পরিনত হওয়ায় বহু জাতের পশু পাখির বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পরে। অবশিষ্ট পাহাড়ে দুই একটি প্রজাতির পশু-পাখি থাকলেও পাহাড়ে বসবাস করার অবস্থান না থাকায় লোকালয়ে চলে আসে। এ ভাবেই গহিন অরন্যর গারো পাহাড়ের পশু-পাখি আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রকাশ থাকে যে প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের গাছ-পালা ও পশু-পাখি সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই এমন অভিমত পরিবেশ বিশেষঅজ্ঞদের। তাই উক্ত গারো পাহাড়টি আবারো পূর্বের ন্যায় প্রকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা গাছ-পালা, পশু-পাখির অভয় আশ্রম হিসাবে গড়ে তুলা অত্যান্ত জরুরি প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮