জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ জানুয়ারি জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৫৩ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার জগন্নাথপুর গাংপাড় গ্রামের আবদুল আজিজ ওরফে কাশেম মিয়ার ছেলে আবু লেইছ বিগত ৭/৮ বছর ধরে নিজের আসল নাম পরিবর্তন করে শাহ আবুল হায়াত নাম ধারণ করে কবিরাজি ব্যবসা শুরু করেন। দিনেদিনে তার ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দেশ-বিদেশে তার পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে। এ সুযোগে নানা চিকিৎসার নামে তাবিজ-কবজ দিয়ে প্রবাসী সহ রোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বেকায়দায় পড়লে আবার টাকা ফেরত দিচ্ছেন।
এ রকম এক রোগীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় জগন্নাথপুর পৌরসভায় শালিস হয়েছে। এক প্রবাসী নারীর কাছ থেকে নেয়া ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। আকাবুর মিয়ার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ফেরত দেন। জগন্নাথপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ৫ লাখ ও ইসহাকপুর গ্রামের আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতারণার শিকার হওয়া ভূক্তভোগীরা গ্রামের মানুষের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। এতে গ্রামবাসীর মানহানি হয়।
এ বিষয়ে ১ ফেব্রæয়ারি বুধবার প্রতিবাদকারীদের মধ্যে জগন্নাথপুর গ্রামের শালিসি ব্যক্তি আবদুল জলিল জানান, এ ভন্ড কবিরাজের কারণে আমরা গ্রামবাসী লজ্জিত। সে কবিরাজির নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আলিশান বাড়ি করেছে। গ্রামের মুরব্বিরা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে যাদু-টোনার ভয় দেখায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে পৌরসভায় ২ বার শালিস হয়েছে। এতে রোগীরা জানান, প্রথমে তার তাবিজ-কবজে কাজ করলেও পরে করেনা। তাই টাকা দিয়ে এখন ফেরত চাইছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরাজ আবু লেইছ ওরফে শাহ আবুল হায়াত জানান, আমি কারো সাথে প্রতারণা করিনি। অযথা আমাকে বদনাম দেয়া হচ্ছে। আমি কোন দোষ করলে আমার গার্ডিয়ানরা দেখবেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮