জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃষ্টির অভাবে ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। জমিতে রোপনকৃত ধানের চারা মরে লালচে হয়ে যায়। জমির আশপাশের সকল খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে পানি দেয়া সম্ভব ছিল না। চারা ধানের এমন করুন দশা দেখে কৃষককূলে রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়। গত মাঘ মাস থেকে দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে বোরো ধানের সাথে অন্যান্য শাক-সবজি সহ গাছ-গাছলিতেও মরক দেখা দেয়। বোরো ধানের চারা সহ বিভিন্ন গাছের ফল-ফুলেও পোঁকা মাকড়ের আক্রমন বেড়ে যায়। চারদিকে উড়ছিল ধূলো-বালি। প্রকৃতি যেন বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছিল। এতে কৃষক সহ জনমনে অস্বস্তি বিরাজ করে।
তাই বৃষ্টির জন্য উপজেলাজুড়ে মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণ করেন স্থানীয় কৃষকরা। সনাতন ধর্মালম্বীরা করেছেন প্রার্থনা। গ্রাম-গঞ্জের এক শ্রেণির মানুষ বাগাই মেরেছেন। বিভিন্ন সারি গান গেয়ে মাঠে ও উঠানে লাটিসোটা হাতে নিয়ে মাটিতে আঘাত করেন একদল মানুষ। এটাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় “বাগাই মারা”। এক কথায় যে যেভাবে পারছেন, সেভাবেই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
অবশেষে ২২ ফেব্রæয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার উপর দিয়ে হালকা ও মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বয়ে যায়। চলে রাত ১১ পর্যন্ত। এতে জনজীবনে ফিরে আসে স্বস্তি। দীর্ঘ কাঙ্খিত বৃষ্টি পেয়ে জনমনে খুশির শেষ ছিল না। এতে রীতিমতো প্রাণ ফিরে পেয়েছে বোরো ধানের চারা সহ সকল প্রকার গাছ-গাছালি।
২৩ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা যায়, রাতে এতো বৃষ্টি হলেও অনেকের জমিতে পানি জমেনি। এ সময় স্থানীয় কৃষক আছলম উদ্দিন সহ অনেকে জানান, বৃষ্টির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমির ফাটাতে চলে গেছে। তবে জমিতে পানি জমে না থাকলেও চারা ধান ঝলঝল করছে। এতে ধানের অনেক উপকার হয়েছে। এখন ধান গর্ভবতী হয়ে ফাল্গুনের শেষ দিকে থোড় বোরোবে
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮