Dhaka , Thursday, 4 July 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশের এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন- দেলোয়ার মোমেন।। শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা কালে জনতার হাতে যুবক আটক।। রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাতের  নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার।। রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ।। তিতাসের জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষকতার দুই যুগপূর্তি।। কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার- স্বামী পলাতক।। নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম।। মায়ের সামনে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু।। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ।। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজাপুরের মশিউর রহমান তামিম।। সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ।। কুমিল্লা পিটিআই কর্তৃক সততা নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন- তানজুরুন নাহার।। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা।। সড়কতো নয় যেন ধান শুকানোর চাতাল।। তিতাসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত।। ঈদ উপলক্ষে হিলিতে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে চাল বিতারণ।।  পাবনায় হত্যায় মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।। আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সভাপতি পিয়াস সম্পাদক ইকবাল।। পাবনা জেলা স্কুল জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়।। সিলেটে বৃস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত-ফের জলাবদ্ধতার শঙ্কা।। জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে- আবুল বাশার  বাদশা।। নিখোঁজের দুদিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ মিলল ঘাটলার নিচে।। ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন।। সুন্দরগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়- পুলিশসহ আহত ১০।। নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু।। পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত আহত -৭ জন।। রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রফিক সমর্থকদের উপর হামলা।। ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের।। শিবচরে আগুনে ১৩ গরু মারা গেছে।।

কক্সবাজারে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:00:13 pm, Saturday, 8 July 2023
  • 271 বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ

 

তৌহিদ বেলাল,
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।

গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। কক্সবাজার-৩ (ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদর) সংসদীয় আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।

গেলো ৩০ জুন, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় শেষে ঈদগাঁওতে হযরত ডুলা ফকির (রঃ) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরু করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অত্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত এই আইনজীবী।

জিয়ারত শেষে তিনি উপস্থিত জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাওয়ার আগে তিনি আগে জনগণের কাছে যাবেন। পরবর্তীতে জনগণ চাইলে তাদের অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট মনোনয়ন চাইবেন ।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন- ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি আবু তালেব, ইসলামপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী হাসান আলি, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক এমইউপি, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী নওশাদ মাহমুদ, পোকখালি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী হেলাল উদ্দিন এমইউপি, পোকখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুর আলম দাদা, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মনির ও অ্যাডভোকেট হূমায়ুন কবির আহসান, শহীদউল্লাহ, শামশুল হক, নাছির উদ্দিন, মোঃ উসমান সরওয়ার, সরওয়ার জাহান, মাস্টার নূরূল ইসলাম, রমজান আলি, মাষ্টার ছানা উল্লাহ, সরওয়ার আলম, আমান উল্লাহ, রহিম উল্লাহ, মোঃ আজিম, ইমরানুল ইসলাম, টিটু কান্তি দে, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।

পরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে তিনি ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালি, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তিনি গত তিনদিনে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি ও খুরুশকুল এবং রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও মতবিনিময় করেন। এসময় এলাকাসমূহের সাধারণ জনগনের মধ্যে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা, আগ্রহ ও কৌতুহল তৈরি হচ্ছে।

ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদের সংক্ষিপ্ত জীবনী:
কক্সবাজার জেলার প্রথম ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদ ১৯৭০ সালের ১লা জানুয়ারী নানা বাড়ী সাবেক ঈদগাঁও (বর্তমান ইসলামাবাদ) ইউনিয়নের পাঁহাশিয়া খালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নানা মরহুম ছৈয়দুর রহমান একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মরহুমা জাহানারা বেগম মিজান সাঈদের গর্ভধারিণী মা। বাবা এডভোকেট সাঈদ রমজানুল আলম কক্সবাজার উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এবং ভারুয়াখালী দীপশিখা একাডেমী কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সৈকত গার্লস স্কুল ও সিটি কলেজেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

শিক্ষা জীবন :
মিজান সাঈদ তাঁর প্রাইমারী শিক্ষা গ্রহণ করেন ১৯৮০ সালে ঈদগাঁও পাঁহাশিয়া খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ঐ সময় ৩২টি প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রদের সম্মিলিত পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৮১ সালে তিনি কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং একই স্কুল থেকে ১৯৮৫ সালে এস. এস. সি পাশ করেন। উলেখ্য, ১৯৮১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শেষ দিকে এবং ১৯৮২ সালে ৭ম শ্রেণীর প্রথম দিকটায় তিনি ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়েও কিছু দিন অধ্যয়ন করেন।

তিনি ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এইচ, এস, সি. পাশ করেন। একই সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদী এলএল.বি. অনার্স কোর্সে ভর্তি হন এবং ১৯৯১ সালে তা কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএল. এম. ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৯২ সালে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে তিনি হিউম্যানিস্ট এন্ড এথিকেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে হিউম্যান রাইটসঢ়স এবং লিগ্যাল এইড এর উপর একবছর মেয়াদী ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বাবা-মা’র স্বপ্ন পূরনের জন্যে মিজান সাঈদ ২০০০ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর পাড়ি জমান লন্ডনে। ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব উলভাৱহাম্পটন থেকে এলএল.বি. অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিন বছর মেয়াদী কোর্স কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মাত্র দু’বছরে সম্পন্ন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোর্সে মিজান সাঈদ ২.১ গ্রেড অর্জন করেন। সফলভাবে এলএল.বি. অনার্স সম্পন্ন করার পর মিজান সাঈদ ইউনিভার্সিটি অব নর্দামব্রিয়া থেকে পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা অন বার ভোকেশনাল কোর্স (পিজিডি অন বিভিসি) ডিগ্রী অর্জন করেন। মিজান সাঈদ ২৪শে জুলাই ২০০৩ ইংরেজী তারিখ লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী লিংকনস্ ইনে বার-এট-ল সনদ লাভ করেন।

পেশাগত জীবন :
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ লাভ করে মিজান সাঈদ ১৯৯৫ সালে ঢাকা বারে এডভোকেট হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ল-চেম্বার হক এন্ড কোম্পানী’তে যোগ দেন ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাক্টিস শুরু করেন।

আইন পেশায় মিজান সাঈদের প্রকৃত হাতেখড়ি হয় ব্যারিষ্টার রফিকুল হকের হাতে। বর্তমানে তিনি মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন তালিকাভূক্ত আইনজীবী ।

ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে বিগত দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের একটি প্রজেক্টে বিশেষজ্ঞ আইনজীবি হিসেবে দুই বছর (২০০৪ থেকে ২০০৬) রেসিডেন্ট লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সময় ফরাসী ল ফার্ম – জিড লরেট নুয়েল এবং ভারতীয় ল ফার্ম – ফক্স মন্ডল এর সাথে যৌথ উদ্দ্যোগে ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এ তিনটি আইনের উপর বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট একটি সংস্কার রিপোর্ট প্রদান করেন। ঐ সময় ব্যারিষ্টার মিজান বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন বিভাগের পূনর্গঠন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক সমুহকে কোম্পানীতে পরিবর্তন, মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন ও সময় সময় বিভিন্ন রেগুলেটরী ইস্যুতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।

ব্যারিষ্টার মিজান তার ২৮ বছরের পেশাগত জীবনে শতাধিক দেশী বিদেশী ব্যাংক, বীমা, কোম্পানী/কর্পোরেট হাউজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাবেক ব্যাংক ইন্দোসুয়েজ (বর্তমানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি), প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, সাবেক সোশাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (বর্তমানে সোশাল ইসলামী ব্যাংক), জনতা ব্যাংক, বেক্সিমকো গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ট্রান্সকম বেভারেজ লিঃ, ফ্লোরা টেলিকম লিঃ, মীরপুর সিরামিক ওয়ার্কস লিঃ, খাদিম সিরামিক ওয়ার্কস লিঃ, হাইপেরিয়ন বিল্ডারর্স লিঃ, সোনালী জুট মিলস লিঃ, বি. কে. ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, শাহজালাল গ্রুপ, এসিআই লিঃ, এনা প্রপার্টিজ লিঃ, সেইবোল্ট গ্রুপ, এস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট লিঃ, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স লিঃ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিঃ, ঢাকা ফোন লিঃ, ফিনিক্স গ্রুপ, এপোলো গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, বৈশাখী মিডিয়া লিঃ, এইচপি ক্যামিক্যালস লিঃ, আকিজ গ্রুপ, নীট এশিয়া লিঃ, ঢাকা ব্যাংক লিঃ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাতিমাস ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন লিঃ (মালয়েশিয়া), এইচ আর গ্রুপ, এলিগেন্ট গ্রুপ, জিমালটু সিংগাপুর ইত্যাদি।

ব্যারিষ্টার মিজান শিক্ষাগত, পেশাগত কিংবা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম সফর করেন। বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সহযোগী আইনজীবি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার দায়ে ডেভিড বার্গম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আইনজীবি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক জীবন :
ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের সহধর্মিনী ইফ্ফাত কামাল কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও – এ অবস্থিত বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ইফফাত কামালের বাবা লেঃ কর্ণেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (অবঃ) ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মিতে চাকুরীকালীন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নেয়ায় পাকিস্তানের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নির্যাতনের শিকার হন ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত অন্তরীন থাকেন। ইফফাত কামালের আপন চাচা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলাদেশের একমাত্র বেসামরিক শহীদ বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সম্প্রতি মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৩ এ ভূষিত হয়েছেন । শহীদ বুদ্ধিজীবি সিএসপি অফিসার নূরুল আমিন ইফফাত কামালের আপন খালু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল হারুন আহমেদ চৌধুরী (সিলেট) বীরোত্তম ইফফাত কামালের আপন মামা। মরহুম বিচারপতি আব্দুস সোবহান চৌধুরী ইফফাত কামালের নানা। ব্যারিস্টার মিজান এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ।

রাজনৈতিক কর্মকান্ড:
ছাত্র জীবনে ব্যারিস্টার মিজান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ. রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করেন। আইন পেশা শুরু করার পর আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হন এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুইবার তিনি সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচন -এ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃ
একাডেমিক ব্যুৎপত্তি অর্জনের পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে মিজান সাঈদ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।।

কক্সবাজারে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ

আপডেট সময় : 01:00:13 pm, Saturday, 8 July 2023

 

তৌহিদ বেলাল,
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।

গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। কক্সবাজার-৩ (ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদর) সংসদীয় আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।

গেলো ৩০ জুন, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় শেষে ঈদগাঁওতে হযরত ডুলা ফকির (রঃ) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরু করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অত্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত এই আইনজীবী।

জিয়ারত শেষে তিনি উপস্থিত জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাওয়ার আগে তিনি আগে জনগণের কাছে যাবেন। পরবর্তীতে জনগণ চাইলে তাদের অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট মনোনয়ন চাইবেন ।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন- ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি আবু তালেব, ইসলামপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী হাসান আলি, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক এমইউপি, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী নওশাদ মাহমুদ, পোকখালি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যানপ্রার্থী হেলাল উদ্দিন এমইউপি, পোকখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুর আলম দাদা, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মনির ও অ্যাডভোকেট হূমায়ুন কবির আহসান, শহীদউল্লাহ, শামশুল হক, নাছির উদ্দিন, মোঃ উসমান সরওয়ার, সরওয়ার জাহান, মাস্টার নূরূল ইসলাম, রমজান আলি, মাষ্টার ছানা উল্লাহ, সরওয়ার আলম, আমান উল্লাহ, রহিম উল্লাহ, মোঃ আজিম, ইমরানুল ইসলাম, টিটু কান্তি দে, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।

পরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে তিনি ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালি, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তিনি গত তিনদিনে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি ও খুরুশকুল এবং রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও মতবিনিময় করেন। এসময় এলাকাসমূহের সাধারণ জনগনের মধ্যে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা, আগ্রহ ও কৌতুহল তৈরি হচ্ছে।

ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদের সংক্ষিপ্ত জীবনী:
কক্সবাজার জেলার প্রথম ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদ ১৯৭০ সালের ১লা জানুয়ারী নানা বাড়ী সাবেক ঈদগাঁও (বর্তমান ইসলামাবাদ) ইউনিয়নের পাঁহাশিয়া খালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নানা মরহুম ছৈয়দুর রহমান একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মরহুমা জাহানারা বেগম মিজান সাঈদের গর্ভধারিণী মা। বাবা এডভোকেট সাঈদ রমজানুল আলম কক্সবাজার উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এবং ভারুয়াখালী দীপশিখা একাডেমী কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সৈকত গার্লস স্কুল ও সিটি কলেজেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

শিক্ষা জীবন :
মিজান সাঈদ তাঁর প্রাইমারী শিক্ষা গ্রহণ করেন ১৯৮০ সালে ঈদগাঁও পাঁহাশিয়া খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ঐ সময় ৩২টি প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রদের সম্মিলিত পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৮১ সালে তিনি কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং একই স্কুল থেকে ১৯৮৫ সালে এস. এস. সি পাশ করেন। উলেখ্য, ১৯৮১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শেষ দিকে এবং ১৯৮২ সালে ৭ম শ্রেণীর প্রথম দিকটায় তিনি ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়েও কিছু দিন অধ্যয়ন করেন।

তিনি ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এইচ, এস, সি. পাশ করেন। একই সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদী এলএল.বি. অনার্স কোর্সে ভর্তি হন এবং ১৯৯১ সালে তা কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএল. এম. ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৯২ সালে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে তিনি হিউম্যানিস্ট এন্ড এথিকেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে হিউম্যান রাইটসঢ়স এবং লিগ্যাল এইড এর উপর একবছর মেয়াদী ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বাবা-মা’র স্বপ্ন পূরনের জন্যে মিজান সাঈদ ২০০০ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর পাড়ি জমান লন্ডনে। ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব উলভাৱহাম্পটন থেকে এলএল.বি. অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিন বছর মেয়াদী কোর্স কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মাত্র দু’বছরে সম্পন্ন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোর্সে মিজান সাঈদ ২.১ গ্রেড অর্জন করেন। সফলভাবে এলএল.বি. অনার্স সম্পন্ন করার পর মিজান সাঈদ ইউনিভার্সিটি অব নর্দামব্রিয়া থেকে পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা অন বার ভোকেশনাল কোর্স (পিজিডি অন বিভিসি) ডিগ্রী অর্জন করেন। মিজান সাঈদ ২৪শে জুলাই ২০০৩ ইংরেজী তারিখ লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী লিংকনস্ ইনে বার-এট-ল সনদ লাভ করেন।

পেশাগত জীবন :
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ লাভ করে মিজান সাঈদ ১৯৯৫ সালে ঢাকা বারে এডভোকেট হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ল-চেম্বার হক এন্ড কোম্পানী’তে যোগ দেন ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাক্টিস শুরু করেন।

আইন পেশায় মিজান সাঈদের প্রকৃত হাতেখড়ি হয় ব্যারিষ্টার রফিকুল হকের হাতে। বর্তমানে তিনি মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন তালিকাভূক্ত আইনজীবী ।

ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে বিগত দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের একটি প্রজেক্টে বিশেষজ্ঞ আইনজীবি হিসেবে দুই বছর (২০০৪ থেকে ২০০৬) রেসিডেন্ট লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সময় ফরাসী ল ফার্ম – জিড লরেট নুয়েল এবং ভারতীয় ল ফার্ম – ফক্স মন্ডল এর সাথে যৌথ উদ্দ্যোগে ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এ তিনটি আইনের উপর বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট একটি সংস্কার রিপোর্ট প্রদান করেন। ঐ সময় ব্যারিষ্টার মিজান বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন বিভাগের পূনর্গঠন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক সমুহকে কোম্পানীতে পরিবর্তন, মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন ও সময় সময় বিভিন্ন রেগুলেটরী ইস্যুতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।

ব্যারিষ্টার মিজান তার ২৮ বছরের পেশাগত জীবনে শতাধিক দেশী বিদেশী ব্যাংক, বীমা, কোম্পানী/কর্পোরেট হাউজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাবেক ব্যাংক ইন্দোসুয়েজ (বর্তমানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি), প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, সাবেক সোশাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (বর্তমানে সোশাল ইসলামী ব্যাংক), জনতা ব্যাংক, বেক্সিমকো গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ট্রান্সকম বেভারেজ লিঃ, ফ্লোরা টেলিকম লিঃ, মীরপুর সিরামিক ওয়ার্কস লিঃ, খাদিম সিরামিক ওয়ার্কস লিঃ, হাইপেরিয়ন বিল্ডারর্স লিঃ, সোনালী জুট মিলস লিঃ, বি. কে. ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, শাহজালাল গ্রুপ, এসিআই লিঃ, এনা প্রপার্টিজ লিঃ, সেইবোল্ট গ্রুপ, এস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট লিঃ, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স লিঃ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিঃ, ঢাকা ফোন লিঃ, ফিনিক্স গ্রুপ, এপোলো গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, বৈশাখী মিডিয়া লিঃ, এইচপি ক্যামিক্যালস লিঃ, আকিজ গ্রুপ, নীট এশিয়া লিঃ, ঢাকা ব্যাংক লিঃ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাতিমাস ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন লিঃ (মালয়েশিয়া), এইচ আর গ্রুপ, এলিগেন্ট গ্রুপ, জিমালটু সিংগাপুর ইত্যাদি।

ব্যারিষ্টার মিজান শিক্ষাগত, পেশাগত কিংবা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম সফর করেন। বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সহযোগী আইনজীবি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার দায়ে ডেভিড বার্গম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আইনজীবি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক জীবন :
ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের সহধর্মিনী ইফ্ফাত কামাল কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও – এ অবস্থিত বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ইফফাত কামালের বাবা লেঃ কর্ণেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (অবঃ) ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মিতে চাকুরীকালীন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নেয়ায় পাকিস্তানের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নির্যাতনের শিকার হন ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত অন্তরীন থাকেন। ইফফাত কামালের আপন চাচা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলাদেশের একমাত্র বেসামরিক শহীদ বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সম্প্রতি মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৩ এ ভূষিত হয়েছেন । শহীদ বুদ্ধিজীবি সিএসপি অফিসার নূরুল আমিন ইফফাত কামালের আপন খালু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল হারুন আহমেদ চৌধুরী (সিলেট) বীরোত্তম ইফফাত কামালের আপন মামা। মরহুম বিচারপতি আব্দুস সোবহান চৌধুরী ইফফাত কামালের নানা। ব্যারিস্টার মিজান এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ।

রাজনৈতিক কর্মকান্ড:
ছাত্র জীবনে ব্যারিস্টার মিজান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ. রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করেন। আইন পেশা শুরু করার পর আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হন এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুইবার তিনি সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচন -এ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃ
একাডেমিক ব্যুৎপত্তি অর্জনের পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে মিজান সাঈদ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন।