
মহিনুল ইসলাম সুজন
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।।
উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভাড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার(১৩ জুলাই)সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২.৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে রাত ৯টায় একই পয়েন্টে ফের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫২.৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।যা বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে।এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে নীলফামারীর ডিমলি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত নতুন-নতুন এলাকা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী,পুর্বছাতনাই,ঝুনাগাছ চাপানী,পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নসহ নদী বেষ্টিত এলাকার বাসিন্দাররা পানি বন্দি হয়ে পরার আশঙ্কা করছেন।এতে প্লাবিত এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে এলাকা ভেদে পরিস্থিতি ভয়ানক রুপ ধারন করায় সেইসব এলাকার মানুষজন পরিবার-পরিজন,গবাদি পশুসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদে সরে যাচ্ছেন।পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ায় ইতিমধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি আরও বাড়তে পারে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে সর্তক করার পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুুত রয়েছি।ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যাকবলিত পরিবারগুলোকে নিরাপদে থাকার জন্য সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।