![](https://dainikajkerbangla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তিতাস -কুমিল্লা- প্রতিনিধি।।
সমাজে ভালো মানুষ আছে বলেই এখনো পর্যন্ত টিকে রয়েছে সমাজে বসবাসকারী মানুষেরা।আর সমাজে বসবাসকারী মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকার মতো উন্নত দেশ ছেড়ে নিজের জন্মভূমিতে চলে এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন-দেলোয়ার মোমেন। বলছি-কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়নের মাইজচর গ্রামের কৃতিসন্তান মো.দেলোয়ার মোমেনের কথা।তিনি নিজের এলাকার মানুষ মায়ার টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশে চলে আসেন।এবং মানবিক শান্তিপূর্ণ হোমনা বিনির্মাণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে উৎসাহিত করে। নিরবিচ্ছিন্ন মানবিক কাজ করে থাকেন মানুষ মানুষের জন্য সবসময়।এই ধরনের চিরন্তন বাণী শোনা যায় বহুকাল ধরে।কিন্তু এর মর্মবাণী ধারণ করতে দেখা যায় খুব কম সংখ্যক মানুষকেই।কিন্তু না জন্ম নেওয়া সব মানুষের চরিত্র এক নয়।এখনো সমাজে ভালো মানুষের জন্ম হয়।আর সেই ভালো মানুষটি হলেন- দেলোয়ার মমিন।তাঁর জন্ম হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের মাইজচর গ্রামে।সমাজে বসবাসকারী অসহায় মানুষ গুলো হলো তাঁর পরম বন্ধু।সেই অসহায় মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফোটানোই হলো তাঁর এক মাত্র কাজ। তিনি দেশের বাহিরে থেকেও গ্রাম এবং গ্রামের মানুষের খোঁজ রাখেন কে কীভাবে জীবনযাপন করছে এবং কী কী সমস্যায় আছে।
তারপর তিনি তাঁর ভাতিজা ফারুক মোমেনসহ তাঁর লোকজনের মাধ্যমে নিজের সাধ্যমতো পাঠিয়ে দেন আর্থিক সহায়তা।এতেই তিনি অনেক আনন্দ লাভ করেন এবং এই সব ভালো মাঝে খোঁজে পান অনেক তৃপ্তি ও ভালবাসা।এই সমস্ত ভালো কাজ শুরু করেন ২০১১-২০১২ সালের দিকে।সেই থেকেই তিনি নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্ষুদ্র ভাবে মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ শুরু করেন।এরপর থেকেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।তাঁর এই মহৎ কাজের মাধ্যমে আশা ভরসার ঠিকানা খোঁজে পেয়েছেন এলাকার শত পরিবার।পেশাগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।মহামারী করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসল-কাফন দাফনসহ এলাকার কর্মহীন পরিবার গুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।এছাড়া এতিম শিশুদেরকে নগদ অর্থ দেয়াসহ ছাগল প্রদান করেছেন দেলোয়ার মোমেন।তিনি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদান- বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধীদেরকে সাহায্য প্রদান- শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ,পিতৃহীন বিবাহ উপযুক্ত মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা প্রদান- পবিত্র রমজান মাসে এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ- অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার প্রদানসহ বিভিন্ন ব্লাড ডোনেশন সংগঠনের সাথে সম্পর্ক রাখা- সমাজের ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্যাকেট রান্না করা খাবার প্যাকেটের মাধ্যমে বিতরণ করেছেন।এছাড়া গেলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে হোমনা উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদরাসা ও এতিমখানায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন তিনি। এই সব সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য তিনি ইতোমধ্যে নিজ এলাকা অর্থাৎ হোমনা উপজেলায় একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।এরই ফলস্বরূপে একাধিক সংগঠন থেকে তিনি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা স্মারকও।তাঁর এমন মহৎ গ্রাম উন্নয়ন এবং মানবিক কর্মযজ্ঞ মুগ্ধ হয়েছেন শিক্ষাবিদ,ব্যবসায়ীসহ গ্রামের প্রবীণ ও নবীন ব্যক্তিরাও।
এলাকাবাসীর একটাই চাওয়া যেনো তাকে দেখে সমাজের আরও ১০ জন মানুষ উৎসাহিত হয়ে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসেন এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে।এবিষয়ে জনহিতৈষী দেলোয়ার মমিন বলেন,নিজে ভালো থেকে বাচার নাম জীবন নয়- সবাইকে এক সাথে নিয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার নামই হলো জীবন।তাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে নিজের মনের ভিতরে অফুরন্ত সুখ অনুভব করি।তিনি আরও বলেন- আমার প্রতিবেশী- গ্রামের জনগণ সবসময় সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমার পাশপাশের মানুষজন যখন কোন সমস্যায় পড়ে তখন আমাকে জানায় এবং এরপর আমি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।আমার কাজের দ্বারা সমাজের মানুষ উপকৃত হচ্ছে এতেই আমি আনন্দ উপভোগ করি।ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন- হোমনার মানুষের আবাসন সমস্যা দূরীকরণ করা এবং ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য একটি স্কুল- অসহায় বৃদ্ধ মানুষের জন্য বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা। বিধবা মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে স্বালম্বী করার স্বপ্ন দেখি।আর সেই স্বপ্ন বাস্তব না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। হোমনা বিণির্মাণে সারাজীবন মানুষের পাশে থাকতে চাই।