Dhaka , Sunday, 29 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশের এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন- দেলোয়ার মোমেন।। শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা কালে জনতার হাতে যুবক আটক।। রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাতের  নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার।। রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ।। তিতাসের জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষকতার দুই যুগপূর্তি।। কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার- স্বামী পলাতক।। নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম।। মায়ের সামনে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু।। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ।। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজাপুরের মশিউর রহমান তামিম।। সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ।। কুমিল্লা পিটিআই কর্তৃক সততা নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন- তানজুরুন নাহার।। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা।। সড়কতো নয় যেন ধান শুকানোর চাতাল।। তিতাসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত।। ঈদ উপলক্ষে হিলিতে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে চাল বিতারণ।।  পাবনায় হত্যায় মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।। আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সভাপতি পিয়াস সম্পাদক ইকবাল।। পাবনা জেলা স্কুল জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়।। সিলেটে বৃস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত-ফের জলাবদ্ধতার শঙ্কা।। জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে- আবুল বাশার  বাদশা।। নিখোঁজের দুদিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ মিলল ঘাটলার নিচে।। ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন।। সুন্দরগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়- পুলিশসহ আহত ১০।। নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু।। পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত আহত -৭ জন।। রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রফিক সমর্থকদের উপর হামলা।। ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের।। শিবচরে আগুনে ১৩ গরু মারা গেছে।।

জগন্নাথপুরে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের বাঁধ আবারো ধসে গেল

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:44:43 pm, Monday, 21 March 2022
  • 161 বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথপুরে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের বাঁধ আবারো ধসে গেল

 

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের সেই আলোচিত ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের অংশ আবারো ধসে গেছে। এ নিয়ে পরপর ৩ বার ধসে যাওয়ার ঘটনায় পিআইসি ও শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাঁধ রক্ষায় দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত বরাদ্দ। তবুও শঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। চলছে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণ।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার মইয়ার হাওরের মধ্য স্থানে কলইকাটা নামক স্থানে পাশাপাশি দুইটি গভীর খাদ (স্থানীয় ভাষায় ডহর) রয়েছে। এসব ডহরে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ ফুট পানি আছে বলে স্থানীয় মৎস্য শিকারিরা জানান। এ দুই ডহরের মধ্যস্থান দিয়ে এবার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে।
নলুয়ার হাওর পোল্ডার-১ এলাকার অন্তর্ভূক্ত ১৬ ও ১৭ নং দুইটি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে গত ১০ জানুয়ারি থেকে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়। মাত্র ২৫০ ফুট ভাঙনে বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে দিনরাত কাজ করেও এখন পর্যন্ত এ ভাঙ্গনের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বারবার ধসে যাওয়ায় রীতিমতো বেকায়কায় পড়ে যান সংশ্লিষ্টরা। এখানে আদৌ বাঁধ ঠিকবে কি না এ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এখানে বাঁধ না থাকলে পুরো নলুয়ার হাওর ও মইয়ার হাওর থাকবে অরক্ষিত। কাটা নদীতে পানি আসলেই ঢুকে পড়বে হাওরে। এমন অভিমত স্থানীয় কৃষকদের।
২১ মার্চ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের একাংশ গাছের বল্লি ও বাঁশের আড় নিয়ে ধসে পড়েছে গভীর ডহরে। ভাঙন এলাকায় চলছে শিরণি বিতরণের প্রস্তুতি। শিরণি বিতরণের পর পুনরায় কাজ শুরু হবে বলে ১৭ নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল জানান। তিনি বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনে বাঁধ নির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর আগে বাঁশের আড় ও বেড়া নিয়ে পরপর ২ বার মাটি ধসে গেছে। পরে গাছের বল্লি বসিয়ে দুই দিক থেকে ৩ সুতা রড দিয়ে টানা দিয়ে আড় বানানো হয়। এ আড়ের ভেতরে বাঁশের আড় ও বাঁশের বেড়া দেয়া হয়। ফেলা হয় মাটি ভর্তি প্রায় ৭ হাজার বস্তা। এর পর মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে আমাদের মাটি কাটার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়।
এর মধ্যে গত ১৯ মার্চ শনিবার দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় সব কিছু নিয়ে আবারো বাঁধ ধসে পড়েছে। তৃতীয় বার ধসে পড়ার ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। বাঁধ ধসে পড়ার চিত্র দেখে শ্রমিকরা আর কাজ করতে চাইছে না। তারা রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছে। যে কারণে আবার কাজ শুরুর আগে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণের আয়োজন করেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবার যদি বাঁধ ঠিকে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এ সময় হাওরে থাকা অন্যান্য কৃষক ও গরু রাখাল সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আফসোস প্রকাশ করে বলেন, এসব বড় বড় ডহরের মাঝখান দিয়ে না নিয়ে ডহর ঘুরিয়ে বাঁধ দিলে হয়তো এ সমস্যা হতো না।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজী জানান, বাঁধ ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। এখানে আবারো মাটি ভরাট কাজ চলছে। এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। #

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।।

জগন্নাথপুরে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের বাঁধ আবারো ধসে গেল

আপডেট সময় : 07:44:43 pm, Monday, 21 March 2022

 

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের সেই আলোচিত ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের অংশ আবারো ধসে গেছে। এ নিয়ে পরপর ৩ বার ধসে যাওয়ার ঘটনায় পিআইসি ও শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাঁধ রক্ষায় দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত বরাদ্দ। তবুও শঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। চলছে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণ।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার মইয়ার হাওরের মধ্য স্থানে কলইকাটা নামক স্থানে পাশাপাশি দুইটি গভীর খাদ (স্থানীয় ভাষায় ডহর) রয়েছে। এসব ডহরে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ ফুট পানি আছে বলে স্থানীয় মৎস্য শিকারিরা জানান। এ দুই ডহরের মধ্যস্থান দিয়ে এবার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে।
নলুয়ার হাওর পোল্ডার-১ এলাকার অন্তর্ভূক্ত ১৬ ও ১৭ নং দুইটি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে গত ১০ জানুয়ারি থেকে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়। মাত্র ২৫০ ফুট ভাঙনে বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে দিনরাত কাজ করেও এখন পর্যন্ত এ ভাঙ্গনের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বারবার ধসে যাওয়ায় রীতিমতো বেকায়কায় পড়ে যান সংশ্লিষ্টরা। এখানে আদৌ বাঁধ ঠিকবে কি না এ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এখানে বাঁধ না থাকলে পুরো নলুয়ার হাওর ও মইয়ার হাওর থাকবে অরক্ষিত। কাটা নদীতে পানি আসলেই ঢুকে পড়বে হাওরে। এমন অভিমত স্থানীয় কৃষকদের।
২১ মার্চ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের একাংশ গাছের বল্লি ও বাঁশের আড় নিয়ে ধসে পড়েছে গভীর ডহরে। ভাঙন এলাকায় চলছে শিরণি বিতরণের প্রস্তুতি। শিরণি বিতরণের পর পুনরায় কাজ শুরু হবে বলে ১৭ নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল জানান। তিনি বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনে বাঁধ নির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর আগে বাঁশের আড় ও বেড়া নিয়ে পরপর ২ বার মাটি ধসে গেছে। পরে গাছের বল্লি বসিয়ে দুই দিক থেকে ৩ সুতা রড দিয়ে টানা দিয়ে আড় বানানো হয়। এ আড়ের ভেতরে বাঁশের আড় ও বাঁশের বেড়া দেয়া হয়। ফেলা হয় মাটি ভর্তি প্রায় ৭ হাজার বস্তা। এর পর মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে আমাদের মাটি কাটার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়।
এর মধ্যে গত ১৯ মার্চ শনিবার দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় সব কিছু নিয়ে আবারো বাঁধ ধসে পড়েছে। তৃতীয় বার ধসে পড়ার ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। বাঁধ ধসে পড়ার চিত্র দেখে শ্রমিকরা আর কাজ করতে চাইছে না। তারা রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছে। যে কারণে আবার কাজ শুরুর আগে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণের আয়োজন করেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবার যদি বাঁধ ঠিকে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এ সময় হাওরে থাকা অন্যান্য কৃষক ও গরু রাখাল সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আফসোস প্রকাশ করে বলেন, এসব বড় বড় ডহরের মাঝখান দিয়ে না নিয়ে ডহর ঘুরিয়ে বাঁধ দিলে হয়তো এ সমস্যা হতো না।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজী জানান, বাঁধ ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। এখানে আবারো মাটি ভরাট কাজ চলছে। এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। #