
জুরাইস ইসলাম,মেহেরপুর
কয়েক দিন বাদেই ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি পালনে এবার কি কি আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে তা সবারই অজানা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ দিবসের কোন কর্মসূচী জানাতে পারেন নি। দিবসটিতে অস্থায়ী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন ও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। তাই দিনটি বাঙ্গালী জাতির এক অবিস্মরণীয় দিন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পলাশীর অদূরে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ বাবুর আম্রকাননে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়। শুরু হয় বাংলাদেশ নামক একটি ভ‚খন্ডের আত্মপ্রকাশ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল বীর বাঙালী।
অন্যান্য বছরগুলোতে আগে ভাগেই দিবসটি পালনে সাজসাজ রব লক্ষ্য করা যেতো। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ বাহিনী, আনছার ভিডিপি, বিএনসিসি, গার্লস গাইড ও স্কুলের শিক্ষার্থী কতৃক গার্ড অব অনার প্রদান এবং কুঁচকাওয়াজ প্রদর্শণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতেন। গেল দু’বছর মহামারি করোনর কারনে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা সম্ভব হয়নি। করোনা প্রভাব কম থাকায় এবার হয়তো অনাড়ম্বর পরিবেশে কর্মসূচী পালন করা হবে বলে আশা করেছিলো মেহেরপুরের মানুষ। কিন্তু দিবসটি পালনের কর্মসূচী বা সময়সূচী নির্ধারণ করা না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল। গতবছর লকডাউন শিথিল করার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। কিন্তু মুজিবনগর দিবসটি পালনে এমন গড়িমশি বা দ্বায়সারা ভাব হওয়ায় হতাশ মেহেরপুরবাসি।
দিবসটিকে ঘিরে দেরিতে প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্ম মুনসুর আলম খান জানান, এবার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেজুলেশন হাতে পেয়েছি আজ বুধবার সকালে। এই দিবস পালনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রেজুলেশন না আসলে কিছু করা সম্ভব না। তাই এখন থেকেই দিবসটি পালনের অনুষ্ঠানরে সময়সূচী তৈরি করা হবে।