
জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর ।।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় সয়াবিন তেল নিয়ে তেলেসমাতি কান্ডে নাটকীয় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা। অধিক মুনাফার আশায় বোতলজাত তেল খুলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। এতে তারা লাভবান হলেও লোকসান গুনছেন ক্রেতা সাধারণ। বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। শনিবার(৩০এপ্রিল) দুপুরে ৭৭০ টি ৫ লিটারের খালি বোতলের সন্ধান পাওয়া গেলে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও। দিন শেষে প্রশাসন নড়েচড়ে বসায় শেষ রক্ষা হয়নি বোতল কেটে লুজ তেল তৈরি করা ব্যবসায়ীর। বোতলজাত তেল লুজ হিসেবে বিক্রির দায়ে সুমন নামের এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, চৌগাছার ভাংড়ি ব্যবসায়ী তকিরুল ইসলামের দোকানে ৭৭০ পিস তেলের সয়াবিন তেলের খালি বোতলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তীর সয়াবিন তেলের প্রতিটি বোতলই ৫টি লিটারের। এসকল বোতল খুলে লুজ আকারে বিক্রয় করে অবৈধভাবে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ করলেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েই রেহায় পেয়েছে সুমন নামের এক তেল ব্যবসায়ী।
উপজেলা ও জেলা প্রশাসন শনিবার(৩০ এপ্রিল) দুপুরে খালি বোতলের সন্ধান পেলেও সন্ধ্যা সাতটার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম। লুজ সয়াবিন তেল ব্যবসায়ী দোয়াত আলীর ছেলে সুমন হোসেন স্বীকার করে তার অপরাধ। বোতলজাত সয়াবিন তেল লুজ হিসেবে বিক্রির দায়ে সুমনকে ভোক্তা অধিকার আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অপরাধে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে এই অপরাধ আর করবে না মর্মে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুমন।