
শরিফুল ইসলাম নড়াইল।।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির ছাইমানারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রæফের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে । আহতদের লোহাগড়া,নড়াইল, যশোর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এ সময় উভয় গ্রæফের হামলা চালিয়ে অন্তত্য ২৫টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দশ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান কামরান শিকদার গ্রæপের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হেসেন গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে কামরান ও দাউদকে সমর্থন দেয়। কয়েকদিন আগে ছাইমানারচর গ্রামের কামরান সমর্থিত মুশা মেম্বর ও সরোয়ার খানের লোকজন মোবাইলে ফায়র গেম খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ দাউদ সমর্থিত নান্নু মুন্সির ছেলে রনি মুন্সিকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরই জের ধরে শুক্রবার (১৩ মে) গভীর রাতে কামরান পক্ষে রাশেদ খানের নেতৃত্বে শতাধিক লোক প্রতিপক্ষ দাউদ সমর্থিত মুসা মোল্যা, নান্নু মুন্সি,হাবিবর ,বিল্লাল শেখ. ইউনুচ, তৌহিদ, ফরহাদ, ইয়াকুব, চন্নু মুন্সি, উবায়েদ, জিন্না, নূর ইসলাম, হারুন, জামাল, লাবলু রবিউল মাহাবুর, সোহাগ, আহাদ, ওহিদ শেখের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘর-দরজা ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ন,হাস,মুরগী, ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ দিকে দাউদ সমর্থিত নান্নু মোল্যার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য মুসা মোল্যা ,মজিবার. মিন্টু মুনসী ও আহাদের বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাত করেছে। এ ছাড়া সোহেল মোল্যা একটি ট্রাকও ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা এসএসসি পরীক্ষার্থী খায়রুল শেখের বাম পা কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ছাড়া মুসা মোল্যা, কাশেম মোল্যা, নেপুর মোল্যা, নান্নু মুন্সি, আকবর বিশ্বাস,আহাদ মোল্যা, সোহাগ মোল্যা, মিকাইল মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত খায়রুলকে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে এবং অন্যদের লোহাগড়া,নড়াইল,খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশ আহত মিকাইল মোল্যা,আকবর বিশ্বাস ও নেপুর মোল্যাকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু হেনা মিলন বলেন, এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে লাহুড়িয়ার ছাইমানারচর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । এ রিপোর্ট লেখা পষর্ন্ত থানায় কোন গ্রæফ মামলা করতে আসে নেয় ।