
নদীকে কেন্দ্র করে যে ঢাকার গোড়াপত্তন তা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে বললেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি বলেন,আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখল করার আর কোনও সুযোগ থাকবে না। মেয়র বলেন, এখানে শুধু খনন না, আমরা তার সাথে সাথে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা এর আগে এটা করতে পারেনি। আমরা এই দায়িত্বটা নিয়ে একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। তার সাথে সাথে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি এবং একই সাথে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও আরম্ভ করছি।
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান রয়েছে। এতদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা ছিল না। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও আমরা এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি। এডিস মশা নিধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রেখেছি।
সেজন্য যদি কোনও বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতেও প্রস্তুত আছে। কারণ আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এর আগে ঢাদসিক মেয়র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় চলমান উন্নয়ন কাজ এবং পরে ধানমন্ডি ২/এ রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াবলি পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।