
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিজে কাঁদলেন এবং হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতাকে কাঁদালেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইসলামী বক্তা মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী। তিনি বলেন, প্রতিটি মুসলিম নর-নারীকে কোরআন-সুন্নাহ’র আলোকে জীবন-যাপন করতে হবে। মহান আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর দেখানো পথে চলতে হবে। কিয়ামতের দিন কোন ৭ গোষ্ঠী মানুষ আল্লাহ পাকের আরশের নিচে ছায়া পাবেন। কারা বেহেস্তে অনন্ত শান্তি পাবেন। কাদের ভাগ্যে দোজখের শাস্তি অবধারিত। তিনি যুব সমাজকে নামাজের তাগিদ দেন। সব ধরণের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান জানালেন। মা-বাবার প্রতি সদয় আচরণ করতে সন্তানের প্রতি জোর তাগিদ দিলেন।
২ জানুয়ারি সোমবার প্রতি বছরের মতো এবারো জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর পুরাতন জামে মসজিদের উদ্যোগে স্থানীয় তিলোনার মাঠে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বয়ান পেশকালে তিনি এসব কথা বলেন। বয়ান শেষে হাজার হাজার জনতাকে নিয়ে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের দরবারে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না, পৌর কাউন্সিলর আলাল হোসেন, কামাল হোসেন, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভূইয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বয়ান পেশ করেন মাওলানা আবু আইয়ূব আনছারী। বয়ান পেশ করেন মাওলানা হাফিজ তারিছ আলী, মাওলানা আবদুল মালেক, মাওলানা আহমদ কবির রেফারী প্রমূখ। সভায় ধারাবাহিকভাবে সভাপতিত্ব করেন মিরজান আলী, ইউসুফ আলী, মনির উদ্দিন, হাজী নাছির উদ্দিন, মাহমদ আলী, বারিক মিয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না। এতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন ক্বারী আমজাদ হোসেন, জামান আহমদ, নাঈম আহমদ, আরিফুল হক ফাহিম। সার্বিক সহযোগিতা করেন এনাম তালুকদার, রেদওয়ান আহমদ, শাহজাহান উদ্দিন রুহেল সহ অনেকে।
এদিকে-জগন্নাথপুরে তাহেরী আসছেন এমন খবরে ও তাহেরীর বয়ান শোনতে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার জনতা তিলোনার মাঠে এসে সমবেত হন। এক পর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মাঠ সহ আশপাশ এলাকা। যে দিকে চোঁখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। কোথাও ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।