Dhaka , Saturday, 28 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই তাদের টানে আমেরিকা ছেড়ে দেশের এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন- দেলোয়ার মোমেন।। শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা কালে জনতার হাতে যুবক আটক।। রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাতের  নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার।। রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ।। তিতাসের জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষকতার দুই যুগপূর্তি।। কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার- স্বামী পলাতক।। নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম।। মায়ের সামনে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু।। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ।। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজাপুরের মশিউর রহমান তামিম।। সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ।। কুমিল্লা পিটিআই কর্তৃক সততা নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন- তানজুরুন নাহার।। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা।। সড়কতো নয় যেন ধান শুকানোর চাতাল।। তিতাসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত।। ঈদ উপলক্ষে হিলিতে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে চাল বিতারণ।।  পাবনায় হত্যায় মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।। আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সভাপতি পিয়াস সম্পাদক ইকবাল।। পাবনা জেলা স্কুল জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়।। সিলেটে বৃস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত-ফের জলাবদ্ধতার শঙ্কা।। জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে- আবুল বাশার  বাদশা।। নিখোঁজের দুদিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ মিলল ঘাটলার নিচে।। ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন।। সুন্দরগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়- পুলিশসহ আহত ১০।। নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু।। পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত আহত -৭ জন।। রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রফিক সমর্থকদের উপর হামলা।। ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের।। শিবচরে আগুনে ১৩ গরু মারা গেছে।।

গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি দর্শনার্থীর ভিরে মুখরিত।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:05:44 pm, Friday, 10 February 2023
  • 140 বার পড়া হয়েছে

গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি দর্শনার্থীর ভিরে মুখরিত।

মোঃ রাকিবুল হাসান

শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনিতে দির্ঘ ৪ যোগেরও বেশি সময় ধরে অবকাশ নামক স্থানে একটি পিকনিক স্পর্ট গড়ে উঠে। পরবর্তিতে তৎকালিন সময়ের জেলা প্রশাসক আব্দুস সালামের উদ্যেগে আধুনিকায়নে আদলে গড়ে তুলার উদ্যেগ গ্রহন করেন। এর পর থেকে দেশের দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে উক্ত পিকনিক স্পটে। প্রতিদিনি হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এই গজনি অবকাশে বেড়াতে আসে। তবে প্রতি শুক্রবারে দেশের দূর দুরান্ত থেকে শত শত পরিবহনে হাজার হাজার লোক আসায় উপচে পরে উক্ত অবকাশ পিকনিক স্পটটিতে। তাই জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গজনির গারো পাহাড়ের ৯০ একর জমির ওপর গজনী অবকাশ কেন্দ্রেটি গড়ে তুলেছে। এবং উক্ত পিকনিক স্পটটির নানা কারু কার্যে প্রকৃতির পরিবেশে নান্দনিক গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন গজনী অবকাশে পযর্টন কেন্দ্রে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর পদভারে মুখরিত। পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- মৌসুমের শেষে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। দূর-দুরান্তের পযর্টকরা বেশী আসছেন বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড়ে বনাঞ্চল ঘেরা গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন মুখরিত। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবলকার, জিপলাইনিং, হ্রদের পাশে বোট ক্লাব ও আনন্দপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে পাহাড়ে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় হেঁটে যাওয়া পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরমি ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে উপজাতীয়দের বিচিত্র জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া পাহাড়িদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করার মত। শিশু দর্শনার্থীদের চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। প্রতিটি রাইডে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকাল থেকেই মুখরিত। শিশুদের ভিড় বাড়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন। পদচারণায় মুখরিত শিশুপার্কও। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে মেতে ওঠছে শিশুরা।
ফরিদপুর থেকে আগত কয়েকজন দর্শনার্থীরা বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আকৃষ্ট করছে। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রয়েছে পাহাড়ি, টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস দারুণ উপভোগ করছি। কত সুন্দর অপরূপ চাদর মোড়ানো পাহাড়। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওহ! কি দারুণ মজা! পড়ন্ত বিকালে ছোট নৌকায় ঘুরতে রয়েছে লেক। নৌকায় চড়ে পাহাড়ে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। গজনি অবকাশে ঘুরতে এসে গারো পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মনে আনন্দ দিয়েছে। নতুন রাইডগুলো স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, বতর্মানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদারের ইজারাদার হান্নান সরকার বলেন, ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল এসেছে। ওইসব যানবাহনে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যেন গোটা পরিবেশই পাল্টে গেছে। উল্লেখ্য উক্ত পিকনিক স্পট থেকে প্রতি বছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় আসে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, নিরাপত্তায় কোন সমস্যা নেই। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের নির্বিঘেœ নিরাপদে ঘোরাফেরার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মোঃ রাকিবুল হাসান, শেরপুর প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনিতে দির্ঘ ৪ যোগেরও বেশি সময় ধরে অবকাশ নামক স্থানে একটি পিকনিক স্পর্ট গড়ে উঠে। পরবর্তিতে তৎকালিন সময়ের জেলা প্রশাসক আব্দুস সালামের উদ্যেগে আধুনিকায়নে আদলে গড়ে তুলার উদ্যেগ গ্রহন করেন। এর পর থেকে দেশের দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে উক্ত পিকনিক স্পটে। প্রতিদিনি হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এই গজনি অবকাশে বেড়াতে আসে। তবে প্রতি শুক্রবারে দেশের দূর দুরান্ত থেকে শত শত পরিবহনে হাজার হাজার লোক আসায় উপচে পরে উক্ত অবকাশ পিকনিক স্পটটিতে। তাই জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গজনির গারো পাহাড়ের ৯০ একর জমির ওপর গজনী অবকাশ কেন্দ্রেটি গড়ে তুলেছে। এবং উক্ত পিকনিক স্পটটির নানা কারু কার্যে প্রকৃতির পরিবেশে নান্দনিক গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন গজনী অবকাশে পযর্টন কেন্দ্রে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর পদভারে মুখরিত। পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- মৌসুমের শেষে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। দূর-দুরান্তের পযর্টকরা বেশী আসছেন বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড়ে বনাঞ্চল ঘেরা গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন মুখরিত। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবলকার, জিপলাইনিং, হ্রদের পাশে বোট ক্লাব ও আনন্দপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে পাহাড়ে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় হেঁটে যাওয়া পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরমি ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে উপজাতীয়দের বিচিত্র জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া পাহাড়িদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করার মত। শিশু দর্শনার্থীদের চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। প্রতিটি রাইডে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকাল থেকেই মুখরিত। শিশুদের ভিড় বাড়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন। পদচারণায় মুখরিত শিশুপার্কও। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে মেতে ওঠছে শিশুরা।
ফরিদপুর থেকে আগত কয়েকজন দর্শনার্থীরা বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আকৃষ্ট করছে। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রয়েছে পাহাড়ি, টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস দারুণ উপভোগ করছি। কত সুন্দর অপরূপ চাদর মোড়ানো পাহাড়। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওহ! কি দারুণ মজা! পড়ন্ত বিকালে ছোট নৌকায় ঘুরতে রয়েছে লেক। নৌকায় চড়ে পাহাড়ে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। গজনি অবকাশে ঘুরতে এসে গারো পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মনে আনন্দ দিয়েছে। নতুন রাইডগুলো স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, বতর্মানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদারের ইজারাদার হান্নান সরকার বলেন, ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল এসেছে। ওইসব যানবাহনে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যেন গোটা পরিবেশই পাল্টে গেছে। উল্লেখ্য উক্ত পিকনিক স্পট থেকে প্রতি বছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় আসে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, নিরাপত্তায় কোন সমস্যা নেই। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের নির্বিঘেœ নিরাপদে ঘোরাফেরার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।।

গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি দর্শনার্থীর ভিরে মুখরিত।

আপডেট সময় : 07:05:44 pm, Friday, 10 February 2023

মোঃ রাকিবুল হাসান

শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনিতে দির্ঘ ৪ যোগেরও বেশি সময় ধরে অবকাশ নামক স্থানে একটি পিকনিক স্পর্ট গড়ে উঠে। পরবর্তিতে তৎকালিন সময়ের জেলা প্রশাসক আব্দুস সালামের উদ্যেগে আধুনিকায়নে আদলে গড়ে তুলার উদ্যেগ গ্রহন করেন। এর পর থেকে দেশের দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে উক্ত পিকনিক স্পটে। প্রতিদিনি হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এই গজনি অবকাশে বেড়াতে আসে। তবে প্রতি শুক্রবারে দেশের দূর দুরান্ত থেকে শত শত পরিবহনে হাজার হাজার লোক আসায় উপচে পরে উক্ত অবকাশ পিকনিক স্পটটিতে। তাই জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গজনির গারো পাহাড়ের ৯০ একর জমির ওপর গজনী অবকাশ কেন্দ্রেটি গড়ে তুলেছে। এবং উক্ত পিকনিক স্পটটির নানা কারু কার্যে প্রকৃতির পরিবেশে নান্দনিক গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন গজনী অবকাশে পযর্টন কেন্দ্রে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর পদভারে মুখরিত। পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- মৌসুমের শেষে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। দূর-দুরান্তের পযর্টকরা বেশী আসছেন বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড়ে বনাঞ্চল ঘেরা গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন মুখরিত। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবলকার, জিপলাইনিং, হ্রদের পাশে বোট ক্লাব ও আনন্দপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে পাহাড়ে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় হেঁটে যাওয়া পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরমি ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে উপজাতীয়দের বিচিত্র জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া পাহাড়িদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করার মত। শিশু দর্শনার্থীদের চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। প্রতিটি রাইডে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকাল থেকেই মুখরিত। শিশুদের ভিড় বাড়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন। পদচারণায় মুখরিত শিশুপার্কও। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে মেতে ওঠছে শিশুরা।
ফরিদপুর থেকে আগত কয়েকজন দর্শনার্থীরা বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আকৃষ্ট করছে। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রয়েছে পাহাড়ি, টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস দারুণ উপভোগ করছি। কত সুন্দর অপরূপ চাদর মোড়ানো পাহাড়। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওহ! কি দারুণ মজা! পড়ন্ত বিকালে ছোট নৌকায় ঘুরতে রয়েছে লেক। নৌকায় চড়ে পাহাড়ে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। গজনি অবকাশে ঘুরতে এসে গারো পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মনে আনন্দ দিয়েছে। নতুন রাইডগুলো স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, বতর্মানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদারের ইজারাদার হান্নান সরকার বলেন, ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল এসেছে। ওইসব যানবাহনে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যেন গোটা পরিবেশই পাল্টে গেছে। উল্লেখ্য উক্ত পিকনিক স্পট থেকে প্রতি বছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় আসে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, নিরাপত্তায় কোন সমস্যা নেই। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের নির্বিঘেœ নিরাপদে ঘোরাফেরার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মোঃ রাকিবুল হাসান, শেরপুর প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনিতে দির্ঘ ৪ যোগেরও বেশি সময় ধরে অবকাশ নামক স্থানে একটি পিকনিক স্পর্ট গড়ে উঠে। পরবর্তিতে তৎকালিন সময়ের জেলা প্রশাসক আব্দুস সালামের উদ্যেগে আধুনিকায়নে আদলে গড়ে তুলার উদ্যেগ গ্রহন করেন। এর পর থেকে দেশের দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে উক্ত পিকনিক স্পটে। প্রতিদিনি হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এই গজনি অবকাশে বেড়াতে আসে। তবে প্রতি শুক্রবারে দেশের দূর দুরান্ত থেকে শত শত পরিবহনে হাজার হাজার লোক আসায় উপচে পরে উক্ত অবকাশ পিকনিক স্পটটিতে। তাই জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গজনির গারো পাহাড়ের ৯০ একর জমির ওপর গজনী অবকাশ কেন্দ্রেটি গড়ে তুলেছে। এবং উক্ত পিকনিক স্পটটির নানা কারু কার্যে প্রকৃতির পরিবেশে নান্দনিক গজনি অবকাশ পিকনিক স্পটটি গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন গজনী অবকাশে পযর্টন কেন্দ্রে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর পদভারে মুখরিত। পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- মৌসুমের শেষে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। দূর-দুরান্তের পযর্টকরা বেশী আসছেন বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড়ে বনাঞ্চল ঘেরা গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন মুখরিত। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবলকার, জিপলাইনিং, হ্রদের পাশে বোট ক্লাব ও আনন্দপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে পাহাড়ে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় হেঁটে যাওয়া পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরমি ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে উপজাতীয়দের বিচিত্র জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া পাহাড়িদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করার মত। শিশু দর্শনার্থীদের চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। প্রতিটি রাইডে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকাল থেকেই মুখরিত। শিশুদের ভিড় বাড়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন। পদচারণায় মুখরিত শিশুপার্কও। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে মেতে ওঠছে শিশুরা।
ফরিদপুর থেকে আগত কয়েকজন দর্শনার্থীরা বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আকৃষ্ট করছে। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রয়েছে পাহাড়ি, টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস দারুণ উপভোগ করছি। কত সুন্দর অপরূপ চাদর মোড়ানো পাহাড়। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওহ! কি দারুণ মজা! পড়ন্ত বিকালে ছোট নৌকায় ঘুরতে রয়েছে লেক। নৌকায় চড়ে পাহাড়ে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। গজনি অবকাশে ঘুরতে এসে গারো পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মনে আনন্দ দিয়েছে। নতুন রাইডগুলো স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, বতর্মানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদারের ইজারাদার হান্নান সরকার বলেন, ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল এসেছে। ওইসব যানবাহনে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যেন গোটা পরিবেশই পাল্টে গেছে। উল্লেখ্য উক্ত পিকনিক স্পট থেকে প্রতি বছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় আসে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, নিরাপত্তায় কোন সমস্যা নেই। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের নির্বিঘেœ নিরাপদে ঘোরাফেরার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।