
মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)প্রতিনিধি ।।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মো. মহিদুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষক নিঁেখাজের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই স্কুল শিক্ষকের। উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের গাজীরহাট এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে মো. মহিদুল ইসলাম। তিনি ১৩৬ নং পশ্চিম গাজীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৫ ফেব্রæয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। এ বিষয় নিঁেখাজ মহিদুল ইসলামের স্ত্রী মৌসুমি খানম বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।
নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী মৌসুমী খানম জানান, ১৫ ফেব্রæয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাগেরহাটের সরুইন্থ বাসা থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে আমার সাথে শেষ কথা হয়। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছি। তিনি তার স্বামীকে সুস্থ্য শরীরে ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিখোঁজ মহিদুল ইসলামের ভাই ইউপি সদস্য মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী ডেবরাজ গ্রামের হাসেম শেখ ও তার ছেলে রিপন শেখ স্ত্রী হত্যা মামায় আসামি ছিল। ২০১৮ সালে রিপন শেখের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বাবা-ছেলের বিরুদ্বে মামলা হয়। ওই মামলার তদবির করছিল আমার ভাই স্কুল শিক্ষক মো. মহিদুল ইসলাম। ১৫ ফেব্রæয়ারি ওই মামলার রায়ে তাদের দুজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমি ধারনা করছি যে, স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপন শেখের বর্তমান স্ত্রী শিউলী লোকজন নিয়ে আমার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখতে পারে। তিনি তার ভাইকে উদ্ধারের জন্য গত ১৭ ফেব্রæয়ারি র্যাব-৬ এ একটি আবেদন করেছেন। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল ইনচাজর্, পুলিশ পরিদর্শক এস, এম, আশরাফুল আলম বলেন, মহিদুল নিখোঁজের বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় গত ১৬ ফেব্রæয়ারি একটি জিডি হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত তদন্ত করছি। আমাদের তদন্ত অনুসন্ধান চলছে। আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা খুব দ্রæত সময়ে মহিদুলের নিখোঁজের বিষয়টি জনসমুখ্যে তুলে ধরতে পারবে