
তিতাস( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবুল কাসেমের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন কমিটির অভিভাবক সদস্য জালাল উদ্দীন সরকার,মো. কামাল পারভেজ,আমির হোসেন,
মজিবুর রহমান।তারা গত ০৯/০৮/২০২৩ইং তারিখের অভিযোগের অনুলিপি কপি উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,৭ নং নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করেছেন।আবুল কাসেমের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ
গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কমিটির সদস্য কামাল পারভেজ ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাঃ গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী ভূইয়া।আবুল কাসেমের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে চিঠি দেয়া হলে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আবুল কাসেমের নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।তদন্তে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেমের নানা অনিয়মের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গত মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্য ও তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.কামাল পারভেজ।এবিষয়ে কামাল পারভেজ বলেন- উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির দাখিলকৃত ৪ টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে দুইটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।প্রতিষ্ঠানের ব্যায়ের ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপের অব্যয়িত টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের পূর্ব মুহূর্তে ওই টাকার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে কমিটি ও শিক্ষার্থীদের নিকট অস্বীকার করেছিলেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম।তিনি প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আইডি কার্ড তৈরি করে দিবেন বলে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ শত টাকা করে নিয়েছেন এবং এখনো পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড করে দিতে পারেনি ও তাদের টাকাও ফেরত দেন নাই শিক্ষক আবুল কাসেম।তিনি আর-ও বলেন- অর্থের বিনিময়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম।সেজন্যেই এবার আমাদের স্কুলের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।আগামীদিনে আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ।আসমানিয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম হানিফ বলেন- আবুল কাসেম নিজের ইচ্ছামতোন স্কুল চালিয়ে
স্কুলটিকে শেষ করে দিচ্ছে।তার লজ্জা শরম নেই,তাই সে নিজের ইচ্ছায় স্কুল থেকে যাবেন না এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।তা না হলে আমাদের সুনাম ধন্য বিদ্যালয়টি এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে।এছাড়া আবুল কাসেমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চার পর্বে লিখে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী ভূইয়া।তিনি বলেন- আমাদের স্কুলটি আবুল কাসেমের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।তাকে স্কুল থেকে না সরালে স্কুলটি ধ্বংস হয়ে যাবে।আমরা তা হতে দিবো না। তার বিরুদ্ধে আমার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ধারাবাহিক ভাবে লিখে যাচ্ছি দেখি তার খুঁটির জোর কোথায়।