![](https://dainikajkerbangla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
হযরত বেল্লাল
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে কুরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি বিনিময় এবং পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকালে মজুমদার বাজার সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার -এ-সার্কেল- ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ- উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম- থানার ওসি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে- প্রতিদিনের ন্যায় হাট-বাজার চলে আসছিল। কুরবানি উপলক্ষে বুধবার পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট প- করে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি বিনিময় করেন। এতে এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টেবল মনির হোসেন- সোলায়মান হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পশু কিনতে আসা গ্রাহক সুজন মিয়া জানান- পুলিশ অন্যায়ভাবে হাটে প্রবেশ করে পশুর হাট প- করে দেয়। এতে করে কয়েটি গরু হারিয়ে গিয়েছে এবং অনেকের টাকা পয়সা খোয়া গেছে।
হাট ইাজারাদার মাইদুল ইসলামের বলেন- পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নাই- সে কারণে কুরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না- সেই মর্মে হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে দেয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনিভাবে পশুর হাট প- করে দেন পুলিশ।
থানা অফিসার ইনচার্জ -ওসি- মো. মাহবুব আলম জানান- অনলাইন সেবা ৯৯৯ এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ কুরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জনতা পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করেনএবং ৪ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি বিনিময় করেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান- কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কুরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে হাইকোর্ট একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মতামত না পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।