
হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর- কুড়িগ্রামের চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে সেতুর পাইলিং কার্যক্রমের জন্য রাখা নিমার্ণ সামগ্রীর বিভিন্ন উপকরণ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। পাশাপাশি বসতবাড়িসহ ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে তিস্তা নদী। পানি কমে যাওয়ায় অসময়ে সেতু পয়েন্টে নদী ভাঙন বিপাকে ফেলেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এবং নাকাল করেছে চরবাসিকে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তা সেতু পযন্ট এলাকায় কমপক্ষে ২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আর কয়েক দিন পর কৃষকরা আমনধান কেটে ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বিধীবাম, সে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। গত ৩ বছর ধরে গোটা বছর নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরমাদারী পাড়া গ্রামের আফছার আলী জানান, এর আগে কার্তিক- অগ্রহায়ণ মাসে কখনো নদী ভাঙতে দেখি নাই। গত ৩ বছর ধরে তা হচ্ছে। অসময়ে নদী ভাঙন চরবাসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পাঁচপীর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু পযন্টে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বেশ কয়েকটি চরেনদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে শতাধিক একর জমি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন জানান, সেতু পয়ন্টে ভাঙন দেখা দেয়ায় নিমার্ণ সংক্রান্ত কিছু উপকরণ সরিয়ে নিতে হচ্ছে।