
দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবরোধ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রয়োজন ।
মিয়ানমারে অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শীর্ষক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কথা দিয়েছিলো রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে, কিন্তু তারা সেই কথা রাখেনি। বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। অথচ পশ্চিমা দেশগুলো এখনো মিয়ানমারের সঙ্গে পুরোদমে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছেন তাদের সেটা এখনই বন্ধ করা উচিত। চায়না ও রাশিয়া মিয়ানমারকে সহযোগিতা করেই যাচ্ছে।
আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখতে, তাদের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা দিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে। তবুও আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে হবে। মিয়ানমার অর্থনৈতিক অবরোধ দিতে হবে। তাদের অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আসিয়ান মিয়ানমারকে ইনভাইট করছে না। যা ইতিবাচক দিক।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমার চাপে পড়লে কথা শোনে।বছরের পর বছর মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমার কথা রাখেনি। গেল ৫ বছরে ১৫ বার কথা হয়েছে কিন্তু কোন ফল আসেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে সমাধানেও তাদের বড় ভূমিকা থাকতে হবে। কিন্তু তার মানবতার পাশে নেই।
আমাদের বন্ধু দেশগুলোও মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য করছে। এমনকি যখন মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন বিশ্বের কোনো দেশ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। তখন তাদের পাশে ছিল বাংলাদেশ। একমাত্র বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আড়াই লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ঠেলে দেয় মিয়ানমার। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর কোনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেনি। বরং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারের হাতে। চাপে পড়লেই মিয়ানমার কথা শোনে। তাই বিশ্বের উচিত দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মিয়ানমারের নেত্রীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও দেশটির সামরিক জান্তা সরকার বা গণতান্ত্রিক সরকার সে কথা রাখেনি।